ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে শুরু হয়েছে গরু বেচাকেনা। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে জমজমাট হয়ে উঠছে পশুর হাটগুলো। এখনো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক এবং পশুবাহী ট্রেনে আসছে গরু-ছাগল।আজ ৯০০ কোরবানির পশু নিয়ে ৩টি স্পেশাল ট্রেন রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছে। পশুর বাজারে ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাটে দেখা গেছে সকাল থেকেই ক্রেতারা বাজারে প্রবেশ করছেন। পছন্দের গরু দেখছেন ও দরদাম করছেন। তবে পাইকাররা গরুর সাইজ অনুযায়ী দাম অনেক বেশী চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ক্রেতা।
রোববার (১৮জুলাই) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর মেরাদিয়া পশুর হাটে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভীর। দাম বেশী হওয়ায় বেশীরভাগ ক্রেতার চাহিদা মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরুর দিকে।গরু কিনতে আসা খিলগাঁয়ের মোর্শেদ মিয়া জানান, অধিকাংশ বিক্রেতাই গরুর দাম অনেক বেশী হাকছেন।গত বছর যে সাইজের গরু কিনেছি ৬০হাজার টাকায় এবছর ঠিক সে সাইজের গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০হাজার টাকা।
এনিয়ে কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।তবে অধিকাংশ ক্রেতাই দাম অনেক কম বলছেন।
এদিকে শাহজাহানপুরের অস্থায়ী হাটে সকাল থেকেই ট্রাকে ট্রাকে গরু ছাগল আসতে দেখা গেছে।এসময় ট্রাকে কয়েকটি ছাগল মৃত অবস্থায় দেখা গেছে। এবিষয়ে কুষ্টিয়ার ব্যাপারী শাহআলম জানান, রাস্তায় জ্যাম ও প্রচন্ড গরমের কারনে মারা গেছে ছাগলগুলো।এতে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
বাজার ঘুরে দেখা যায় বেচাকেনা খুব একটা জমে উঠেনি।৬৬ হাজার টাকায় ছোট সাইজের একটি গরু কিনেন তালতলার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন।তিনি বলেন, গেল বছর এরচেয়ে বড় সাইজের গরু কিনেছি ৬০ হাজার টাকায়।এবছর বাজেটের সাথে গরু মিলাতে অনেক কষ্ট হয়েগেছে।
হাট ইজারাদাররা জানান, বাজারে এখনো ক্রেতা তেমন একটা আসতে শুরু করেনি।যারা আসছে অনেকেই দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন।
১লাখ ৮০হাজার টাকায় গরু কিনেছেন বাসাবোর মানিক মিয়া। তিনি জানান বড় গরুর দাম কিছুটা ঠিক আছে তবে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি।
একই চিত্র ছিল ধূপখোলা ও যাত্রাবাড়ির হাটেও।
বিভিন্ন হাটে দায়িত্বে থাকা কয়েকজন আরটিভি নিউজকে বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বার বার অনুরোধ করছি আমরা।পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিচ্ছি। বাজারে এখনো ক্রেতা আসতে শুরু করেনি। তবে এবার বেচাকেনা নিয়ে আমরা খু্ব আশাবাদী।