আওয়ামীলীগ ও সরকারের বিদ্যুৎ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন পাওয়ার সেলের ডিজি প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে সফল একটি নাম হাজীগঞ্জের কৃতী সন্তান প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। ডিজি পাওয়ার সেল, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তিনি বহুমুখী প্রতিভাবান এক ব্যক্তিত্ব। ছাত্র জীবনে ছিলেন মেধাবী এবং তুখোড় ছাত্রনেতা। বতর্মানে একজন উচ্চপদস্থ দ ও সৎ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যার রয়েছে সুনাম। দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে উন্নয়নের একজন কর্ণধার।
মোহাম্মদ হোসাইন ‘পাওয়ার সেল’-এর ডিজি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সরকারি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটা সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। বর্তমান সরকার মতায় আসার পর এ সেক্টরের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণে দেশবাসী এখন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। অন্যদিকে দেশের গ্রামাঞ্চলের জনজীবনে বিদ্যুৎ যন্ত্রণার আরেকটি নাম ছিলো পল্লী বিদ্যুৎ। এখন আশি ভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। ৩০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। শিগ্গিরই আরো ৫০টি উপজেলাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা আছে।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন জানান, চলতি বছরের মধ্যেই দেশের সবকটি বিভাগ, জেলা-উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশের অর্থনীতির চাকাও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি। স্বপ্নের মত হলেও এটা বাস্তব। তিনি বলেন, দেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই আছে তো এই নেই বিদ্যুতের এ লুকোচুরি খেলা যখন চলছিল তখন প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিরন্তর কাজ করে আমূল উন্নতি সাধন করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিদ্যুৎ সেক্টর নিয়ে জনভোগান্তি দূর করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। দেশের বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর অবস্থার ৮০% উন্নতি হয়েছে। শতভাগ জনগোষ্ঠীর ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সরকার নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাৎণিক বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনের জন্য যেমন কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প, সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে; গ্যাস, তেল, কয়লা ও জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও এগিয়ে চলছে।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ‘পাওয়ার সেল’ নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। যা বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রতিষ্ঠার বছরই মোহাম্মদ হোসাইন সহকারী পরিচালক হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০৯ সালে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। অতঃপর ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথা মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আজ অবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর মেধা ও কর্মের সাফল্যের কারণে একে একে এগিয়ে চলছেন। তাঁর দতা ও অভিজ্ঞতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানটি এখন বাস্তবায়নের পথে। সরকার এখন দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে নেপাল ও ভুটানে শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ রপ্তানির কথা ভাবছে।
মোহাম্মদ হোসাইন অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১৯৮৫-৮৬ শিা বর্ষে প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। অতঃপর তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিএ পাস করে ডেনমার্ক থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাকল্যাণ সংস্থায় এমআইএস বিভাগের প্রধান, ওডগ ও হেড পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইনের পথচলা। শিা ও রাজনৈতিক সাফল্যের পাশাপাশি কর্মজীবনেও যিনি একজন অনুপম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সামাজিক জীবনে তাঁর রয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা। পারিবারিক জীবনে তিনি একজন সফল ব্যক্তি এবং একজন সফল বাবা।
হাজীগঞ্জ-শাহ্রাস্তিবাসীর উন্নয়ন নিয়ে পূর্ব থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন এ ব্যক্তি। চাঁদপুর জেলাধীন হাজীগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত আহাম্মদপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক পিতা মরহুম নুরুল হক ভূঁইয়া ছিলেন একজন সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর পিতা নিজের আদর্শেই পুত্রকে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন এবং সেই চেষ্টায় সফলও হয়েছেন। মোহাম্মদ হোসাইন হাজীগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৮০ সালে এসএসসি পরীায় অংশগ্রহণ করেন এবং তৎকালীন সময়ে কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ জন মেধাবীর মধ্যে তিনি অন্যতম হিসেবে মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় উত্তীর্ণ হন। অতঃপর তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইবিএ ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর ডেনমার্ক হতে তিনি পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত হন।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদের ভেতরে বাইরে আন্দোলনের কৌশল বাস্তবায়নের তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৯১-১৯৯৬ সালে প্রকৃচি আন্দোলনের সাথে সক্রিয় সম্পৃক্ত থেকে এবং পরবর্তীতে জনতার মঞ্চ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক পদে যোগদানের পর থেকে তিনি তাঁর সার্বিক কর্মকান্ডে- নিজেকে দ মেধাবী ও পরিশ্রমী ব্যক্তি হিসেবে মন্ত্রণালয়েই শুধু নয়, সরকারের উচ্চ মহলে নিজেকে উপস্থাপনে সমর্থ হয়েছেন। যে কারণে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দেশের পে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যার ফলস্বরূপ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারকের প্রথম অনুস্বারকারী। তিনি এ সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে বাংলাদেশের পে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কার্যক্রমের আওতায় সার্ক দেশ সমূহের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং টঘ-ঊঝঈঅচ জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন । ডি-৮-এর নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পদসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন উল্লেখযোগ্য। তিনি বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতে সাফল্যে পাওয়ার সেল-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের ওচচ প্রবর্তনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালনকারী। এজন্যে তাঁর নামটি থাকবে এ বিভাগে চিরস্মরণীয় হয়ে।
প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন তাঁর কর্মব্যস্ততার মাঝেও তাঁর নিজ এলাকা চাঁদপুর জেলা, সংসদীয় আসন চাঁদপুর-৫ (হাজিগঞ্জ-শাহরাস্তি) বসবাসকারী আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া প্রতিবেশীদের খোঁজ খবর এবং তাদের সুখে-দুঃখে অংশ নিতে প্রায়ই ছুটে যাচ্ছেন। এলাকার সামাজিক কর্মকা-সহ সকল ভালো কাজে অংশগ্রহণের জন্য আসার কারণে জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। তিনি শুধু নিজ এলাকায় নয়, তার কর্মতৎপরাতায় ইতোমধ্যে সমগ্র চাঁদপুরে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ২০১৮ সালের মধ্যে সমগ্র চাঁদপুরকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়ে সুধীমহলসহ সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি চাঁদপুর জেলা পরিষদের মাধ্যমে চাঁদপুর শহরের শোভা বর্ধনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মিউজিয়াম ও লাইব্রেরী স্থাপনের কাজ করেছেন। শিা জীবনে, কর্মজীবনে ও সামাজিক জীবনে সার্বিক ভাবে সফল, বহুমুখী প্রতিভার অধীকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন লেখক হিসেবেও মেধার স্বার রাখতে সম হয়েছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
ব্যক্তিগত জীবনে প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর প্রথম পুত্র মাহির আল হোসাইন পেশায় একজন প্রকৌশলী এবং দ্বিতীয় পুত্র নাভিদ আল হোসাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত। তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া তালুকদার একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রকৌশল মোহাম্মদ হোসাইন পেশাগত কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন, তন্মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস্, বেলজিয়াম, সুইডেন, ইতালি, ডেনমার্ক, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, দণি কোরিয়া, হংকং, চীন, তুরস্ক, শ্রীলংকা, ভারত, নেপাল, ভুটান উল্লেখযোগ্য।
‘কর্মজীবন শেষে আপনার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের ইচ্ছে আছে কী’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার রাজনীতি ছাত্রাবস্থা থেকেই শুরু। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমার আদর্শ এবং জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পথ প্রদর্শক। তাঁর একজন সক্রিয় সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতে আমি সব সময়ই গর্ববোধ করি। ছাত্র রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে এ দলের এবং দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থা রেখে রাজনীতি করার কারণে নানা ধরনের নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হয়েছি। কিন্তু কোনোকিছুই আমাকে ল্যচ্যুত করতে পারেনি কিংবা আদর্শচ্যুত করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের দুর্দিনেও আমি সক্রিয় রাজনীতি করেছি, সকল বিপদ, আপদ দেখে এবং জেনেশুনেও এ দলের একজন সমর্থক হিসেবে রাজপথ ছাড়িনি। ভবিষ্যতে আছি আমৃত্যু থাকবো। সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সুতরাং আমি রাজনীতির মাধ্যই আছি এবং যতদিন মহান আল্লাহ পাক তৌফিক দেন, ততদিন রাজনীতি থেকে আমাকে কোনো কিছুই বিরত রাখতে পারবে না। সুযোগ পেলে জনগণের সেবায় নিজেকে আরো নিবিড়ভাবে নিয়োজিত করবো।
‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে হাজীগঞ্জ-শাহ্রাস্তিরবাসীর জন্য কী কী করার পরিকল্পনা আছে’ জানতে চাইলে প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এ প্রতিবেদককে জানান, আসলে হাজীগঞ্জ-শহ্রাস্তিবাসী বিগত কয়েক দশক ধরে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে যে প্রত্যাশা করেছিলেন সেই প্রত্যাশা অনেকাংশেই তাদের অপূরণীয় থেকে গেছে। আমি নতুন করে তাদেরকে প্রত্যাশার বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাই না। তবে আমার ুদ্র পরিসরে বিগত দিনের কর্মকা-ের কারণে তাদের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে, আমি নতুন করে তাদেরকে আশাহত করতে চাই না। আমি মনে করি রাজনীতি হলো একটি মহান সমাজসেবার প্রতিষ্ঠান। তবে সে রাজনীতি অবশ্যই হতে হবে ত্যাগের, ভোগের নয়। কারো দেওয়ার বাসনা না থেকে যদি শুধুই পাওয়ার কামনা থাকে, তাহলে তাদের রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। আমাকে যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুর-৫ আসনে (হাজীগঞ্জ-শাহ্রাস্তি) আশাহত মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি তাদেরকে নিরাশ করবো না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের মলিন মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করবো। এই প্রতিশ্রুতিটুকু দিতে পারি।
‘আপনার এলাকা শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জবাসীকে নিয়ে আপনার কোনো ভাবনা আছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকার উন্নয়নে অত্র এলাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রমে ভূমিকা রাখছি এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এছাড়াও এলাকার অসহায়, দরিদ্র, শিতি বেকারদের কর্মসংস্থানেও আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকাকে সমগ্র দেশের সামনে একটি উন্নয়নের মডেল এলাকা হিসাবে উত্থাপনের স্বপ্ন আমি প্রতিনিয়তই দেখি।