হাজীগঞ্জের টোরাগড়-বড়কুল খেয়াঘাটে ব্রীজ নির্মাণের জন্য ৪০ বছর ধরে দাবী করে আসছে ভূক্তভোগীরা
আমাদের এমপি স্যার আন্তরিক ভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন যতদ্রুত এ ব্রীজটি নির্মাণ করা যায়- আশরাফ জামিল
হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকায় নদীর দক্ষিন অঞ্চলের সাথে উত্তর অঞ্চলের সাথে যোগযোগের জন্য ডাকাতিয়া নদীয় উপর ৭টি ব্রীজ নির্মাণ করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। কিন্তু আরেকটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ হলো টোরাগড়-বড়কুল খেয়াঘাটের ব্রীজ। হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চল বড়কুল, রায়চো, দক্ষিণ বড়কুল, আডুলী, এন্নাতলি, রসুলপুর, মৈশামুড়া, পালিশারা, আহম্মদপুর, মোহাম্মদপুর, তারাপাল্লা, দিকচাইল. মোল্লাড়হর, সর্বতারা গ্রামের লাখো মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা টোরাগড়-বড়কুলের রাস্তা। কিন্তু এ রাস্তায় ডাকাতিয়া নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঐসমস্ত গ্রামের লাখো মানুষসহ পাশবর্তী শাহরাস্তি, রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জন-মানুষকে। ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ পাশ থেকে উত্তর পাশে আসতে হলে রয়েছে খেয়াঘাট। প্রতিদিন উক্ত খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং ব্যবসায়ীরা। নদী পারাপারের জন্য খেয়া ঘাটে বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। বিশেষ করে গর্ববতি মহিলা ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদেরকে নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। সময়মত নদী পার হতে না পেরে অনেক রোগী খেয়া ঘাটে মৃত্যু হয়েছে বলেও জানাযায়। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় উপস্থিত হতে না পেরে ক্লাস ও পরীক্ষায় বিড়ম্ভনার শিকার হয়। তাছাড়া খেয়া ঘাটে বসার কোন স্থান না থাকায় শুস্ক মৌসুমে রোদে ফুড়তে হয় এবং বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তার পরেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে অত্র অঞ্চলের এসকল সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে যে পরিমান উন্নয়ন হওয়ার কথা তা হয়নি। যা হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এম.পি মহোদয়ের আমলেই হয়েছে।
বর্তমান সরকার গত ৬ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। যার ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান। বর্তমান ডিজিটাল যুগে দেশ যখন উন্নয়নের গিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ব্রীজটির কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে অত্র অঞ্চলগুলো। দেশের উন্নয়নের সাথে অত্র অঞ্চলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবী টোরাগড়-বড়কুল রাস্তার ডাকাতিয়া ব্রীজ। এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে নদীর দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের সাথে হাজীগঞ্জ বাজারসহ দেশের সব অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
এ ব্রীজটি নিমার্ণের জন্য দীর্ঘ বহু বছর যাবৎ দাবী জানিয়ে আসলেও কোন সরকারে আমলে কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করার হয়নি। তাই অত্র হাজীগঞ্জ-শহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম উক্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের এই প্রাণের দাবীকে আমলে নিয়ে ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আন্তরিক ভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁরই চেষ্ঠায় গত কিছু দিন পূর্বে ব্রীজ নির্মাণের জন্য ঢাকা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাবৃন্দ ব্রীজের স্থান পরিদর্শণ করে সয়েল টেষ্ট করার প্রয়োজনীয় কাগপত্র অনেক এগিয়ে নিয়েছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানাযায়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ জামিল বলেন, টোরাগড়-বড়কুল খেয়াঘাটে ব্রীজ করার জন্য আমাদের এমপি স্যার অনেক আন্তরিক। এ জন্য তিনি বিভিন্ন দপ্তরের যোগাযোগ করে আসছেন। তারাই ধারাবাহিকতায় গত সাপ্তাহে সরকারের নিদের্শে আমরা সয়েল টেস্ট করার জন্য ঢাকায় কাগজ পত্র প্রেরণ করেছি। আশা করি কয়েক মাসের মধ্যে এমপি স্যারের সহযোগিতায় এ ব্রীজটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।