আমার কন্ঠ ডেস্ক- মটর সাইকেল ব্যাক্তিগত ও শৌখিনতামূলক একটি বাহন, বাহনটি কেউ ব্যবহার করেন সখে, কেউ আবার প্রয়োজনে। তবে সখেরবশত কিংবা প্রয়োজনবশত যেভাবেই ব্যাবহার হউক, এটি একজন মানুষকে সময়মত নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে সহযোগীতা করে। আর এই মটর সাইকেলকে যদি চালক অদক্ষতার কারনে নিয়ন্ত্রনে না রাখতে পারে, কিংবা অদক্ষ চলককেই মটর সাইকেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হয়, তখনি ঘটে বিপত্তি। এ বিপত্তি তথা বড় ধরনের দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় চালক নিজেই। অপরদিকে মাদক ব্যবসায়ীরাও তাদের নিজস্ব মটর সাইকেল দিয়ে অর্ধশিক্ষিত উঠতি তরুনদের দিয়ে মাদক জাতীয় দ্রব্যাদি পরিবহন করারও অভিযোগ রয়েছে। যখন মটর বাইক দিয়ে মাদক আনায়ন করা হয়, তখন দেখা যায়, তাদের মটর সাইকেলের গতিও থাকে বেপোরোয়া। আর বেপোরোয়া গতির বিষয়টি নিয়ে একাধিক যুবক বয়সী চালকদের প্রশ্ন করলে, তারা হাসি-ঠাট্রার ভাষায় অনেকটা গোজামিলের আশ্রয় নিয়ে, পরোক্ষভাবে মাদক বহনের কথা স্বীকার করে।
এছাড়া স্কুল পড়–য়া অনেক কিশোর, তার মেয়ে বান্ধবীর কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে বা অনেকটা সখের বশত বেপোরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালিয়ে থাকে। আর তখনি ঘটে যায়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এছাড়া বর্তমান গ্রামীণ কেয়ার রাস্তাগুলিতেও দীর্ঘদিনের সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। এতে করে বেপোরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালাতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনায় পতিত হতে দেখা যায়। সম্প্রতি গত রোববার চাঁদপুর সদর উপজেলার ছোবানপুর গ্রামের বাসিন্দা হোটেল কর্মচারী রাশেদ (১৭) ও তার বন্ধু মিশনকে সাথে ভাড়া করা দুটি মটর সাইকেল নিয়ে রেস দিতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় সদর এলাকার ঘাসিপুর গ্রামের পাথর মেলের কাছে ওয়াপদা রাস্তার মোড় ২জন খুব বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে মোড়ে রাশেদ নামের ছেলেটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা মেহগনী গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে করে তার মুখের বেশিরভাগ অংশ থেতলে গিয়ে জিহ্বার টুকরা মাটিতে পড়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে নিতে গেলে,পথিমধ্যে সে না ফেরার দেশে চলে যায়, এদিকে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।