আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
উন্নয়নের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে চাঁদপুর। চাঁদপুরের উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রেখে চলেছে চাঁদপুর জেলা মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসন ও সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তারা। চাঁদপুর জেলা সাংদরা তাদের স্ব-স্ব উপজেলা উন্নয়নের জন্য বিশাল পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল উন্নয়ন প্রায় শেষের দিকে। আগামী ক’ বছরের মধ্যে চাদপুর জেলা হবে উন্নত এবং শান্তির জেলা। বিশেষ করে ডা. দিপু মনি এমপি, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি, ড. মহিউদ্দিন খান এমপি, মায়া চৌধুরী এমপি, ড.সামছুল হক ভূইয়া এমপি জেলার উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা চাঁদপুর জেলার রতœ। এছাড়াও চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং হাজীগঞ্জ দাউদকান্দি রাস্তার উন্নয়ন কাজ শেষ হলে চাঁদপুরের সাথে দেশের সকল জেলার যোগাযোগ উন্নত হবে।
এমন কি খুশির সংবাদ হলো বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে প্রিয় জেলা চাঁদপুর।এমনটাই প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পেরেছি আমরা। চাঁদপুর বাসীর বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চাঁদপুরকে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে একটি নোটিশ প্রদান করা হয়। চাঁদপুরের উত্তর মতলবে হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল।
মতলব উত্তরের, নাছিরাকান্দি, বাহেরচর,উত্তর বোরচর, নাপিতমারা, চরইদ্রিস, চরইলিয়ট, দিয়ারা বোরচর এবং দণি বোরচরের ৩৯ ৯৯.৬০ একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি বাস্তবায়িত হলে এ এলাকা ও আশপাশের অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
এছাড়া কয়েকদিন আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক, চাঁদপুর জেলার মতলবে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক, আইটি ভিলেজ, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন।
কিছুদিন আগে দেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুরের নামটি উঠে আসে।”ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর” নামে একটু লোগো ও উম্মোচন করা হয়।
ডিজিটেল সেবা পেতে শুরু করেছে চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ। গ্রিন চাঁদপুর, কিন চাঁদপুর নামে ও পরিস্কার-পরিছন্নতা কর্মসূচি প্রতিফলিত হচ্ছে।
তাছাড়া ‘বড় স্টেশন’ মোলহেডকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ভ্রমণ প্রিয়সী পর্যটকদের জন্য থাকবে মনরোম পরিবেশ।
মেঘনার অপার সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখতে দেশের ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবে দর্শনার্থী এমনাটই প্রত্যাশা চাঁদপুরবাসীর।
চাঁদপুরের প্রবেশ মুখে ও করা হবে আধুনিক গেইট এমনটাই জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক- মোহাম্মদ আবদুল হাই।
মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
শিা একটি জাতির মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। উচ্চ শিা অর্জনে চাঁদপুরে শিার্থীদের যোগ্যতার তুলনা হয় না। চাঁদপুরের মাটিতে অনেক মেধাবী শিার্থীর জন্ম। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিলো চাঁদপুরে নেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়।
তাই মেধাবী শিার্থীরা উচ্চ শিা গ্রহনে ছুটে যেতেন ঢাকা নয়তো দেশের অন্যান্য বিদ্যাপিঠে। তাছাড়া চাঁদপুর থেকে ৭০ কিঃ মিঃ দূরে কুমিল্লায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় চাঁদপুরে এক বৃহৎ অংশের শিার্থী উচ্চ শিা গ্রহণে বেগ পেতে হতো।
এবার চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
জানা যায়, জানুয়ারি ২০১৫ এর প্রথম পরে পাকি গোপনীয় প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আলোচনায় উঠে আসে চাঁদপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রধান মন্ত্রীর অনুমোদনের বিষয়টি।
সেখানে উল্লেখ করা হয়,” চাঁদপুর একটি নদী মাতৃক জেলা। শিা, যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অগ্রসর জেলা চাঁদপুর। মোট জনসংখ্যা ২.৪ মিলিয়ন।শিার হার ৬৮%। চাঁদপুর জেলা সদর হতে কুমিল্লার দূরত্ব ৭০ কিঃ মিঃ। চাঁদপুর জেলা ছাড়া ও নিকটস্থ লীপুর ও শরীয়তপুর জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিার্থী চাঁদপুর জেলার শিা প্রতিষ্ঠানে শিা লাভ করে। উক্ত জেলায় উচ্চ শিা লাভের প্রতিষ্ঠান না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় মেধাবী শিার্থীদের। এজন্যে পরীা-নিরিা পূর্বক চাঁদপুর জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করতে শিা মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে।’
পরে প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেন।
শিা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোঃ শাফায়াত মাহবুব চৌধুরীর সারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণাটি উঠে আসে।
বিষয় জনসাধারণের জানার জ্ঞাতার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজ। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল হাই ও তার নিজ ফেসবুক ওয়ালে বিষয়টি প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন চাঁদপুরবাসীর জন্য এটি একটি সুসংবাদ। নববর্ষ যখন চারদিকে নতুনকে বরণে ব্যস্ত ঠিক তখন চাঁদপুরের মানুষ ও দুটি সুখের সংবাদ পেলো প্রথমটি একটি মেডিকেল কলেজ ও দ্বিতীয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন।’
চাঁদপুরবাসীর যেনো সুখের সংবাদের অভাব নেই। উন্নয়নের ছোঁয়ায় চাঁদপুর এখন মুখরিত। চাঁদপুরবাসী বিশ্বাস করেন অচিরেই অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হোক।
মেঘনা পাড়ের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে এটি যেমন খুশির তেমনি অনেকেই বলেন এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা চাঁদপুর শহরেই যেনো গড়ে উঠে। জেলা শহরে স্থাপনা গুলো নির্মিত হলে পুরো জেলার মানুষই এর সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে রূপ নিচ্ছে চাঁদপুর। চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে অনুমোদন দিয়েছে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলকে গত ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-১ সামিউল হাসান স্বারিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
মতলব উত্তরের নাছিরকান্দি, উত্তর বাহেরচর, উত্তর বোরোচর, নাপিতমারা, চর ইদ্রিস, চরইলিয়ট, দিয়ারা বোরোচর এবং দণি বোরোচর নিয়ে এ অঞ্চল করা হচ্ছে। প্রায় চার হাজার (৩৯৯৯.৬০) একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। গতকাল রাতে জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুধু মতলবেই নয়, হাইমচরে ৪৭০০ একর ভূমি নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এটিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সহসাই এটি অনুমোদন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। আর এটি অনুমোদন হয়ে আসলে চাঁদপুর হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল থএমনটি বললেন জেলা প্রশাসক।
এ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়িত হলে এ এলাকা ও আশপাশের অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান যেমনি সৃষ্টি হবে তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও সাধিত হবে এবং চাঁদপুরের গুরুত্ব বেড়ে যাবে খুব দ্রুত। ইতিপূর্বে দেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’কে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।