নিরাপদ যৌনতা ও এইডস নির্মূলের প্রচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) ১৯৮৮ সালে অলিম্পিকে কনডম দেয়ার প্রথা শুরু করে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে সাড়ে ৪ লাখ কনডম দেয়া হয়েছিল অ্যাথলেটদের। তবে এবার মাত্র ১ লাখ ৬০ হাজার কনডম পাচ্ছেন অ্যাথলেটরা।
টোকিওতে অলিম্পিক আয়োজনের মূল বাধা করোনা। মহামারি উপেক্ষা করেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। রীতি অনুযায়ী গেমসে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের বিনামূল্যে কনডম দেয়া হয়। যদিও এবারের আসরে তা কমিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবহারেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
ইনসাইডার ডটকম জানাচ্ছে, মহামারি চলাকালীন এবারের আসরে আয়োজকরা অ্যাথলেটদের কনডম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কমিটি ঘোষণা করেছে যে বিতরণ করা কনডম স্মারক হিসেবে নিজেদের দেশে নিতে পারবেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে ১১ হাজার অ্যাথলেট অংশ নেবেন। প্রত্যেকের জন্য ১৪টি করে কনডম বরাদ্দ থাকছে। ব্রাজিলের রিওতে বসা আগের আসরে জনপ্রতি ৪২টি করে কনডম পেয়েছিলেন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা অ্যাথলেটরা।
অলিম্পিক কমিটি ৩৩-পৃষ্ঠার প্লেবুক প্রকাশ করেছে। সেখানে থাকা কনডম প্রোগ্রামে অ্যাথলেটদের শারীরিক যোগাযোগ হ্রাস করতে উত্সাহ দেয়া হয়েছে।
আগামী ২৩ জুলাই শুরু হয়ে অলিম্পিক চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। ৫০টি ডিসিপ্লিনের ৩৩৯টি গেমসে অংশ নেবেন অ্যাথলেটরা।