করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী পরিবহন চলছে। এরপরও বাজারে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম চড়া। এতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা।
করোনা সংক্রমণরোধে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে বাজারে ক্রেতাদের সমাগম কম থাকলেও ভালো কোনো সবজি কিনতে কেজি পড়ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। আর রুইয়ের কেজি ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় রুইয়ের কেজি ৬০০ টাকার নিচে নয়। রুই মাছের মতো পাঙাশ ২০০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, শিং ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
লকডাউনের আগে বাজারে কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজারে কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের জমিতে পানি উঠেছে। এজন্য বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। এ কারণেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। আগামীতে কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়বে। কাঁচা মরিচের মতোই ধনেপাতা ১৮০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা পিস, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি, চালকুমড়া ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ, পটোল ও কাঁকরল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও ধুন্দল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
রোববার (০৪ জুলাই) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আজিমপুর, উত্তরা ও বাড্ডা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে সবজি যে দামে বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের পর তা বেড়েছে।
কাঁচাবাজার দোকানীরা বলেন, এমনিতেই শাটডাউন, তার ওপর ঝুম বৃষ্টি। এতে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে পড়েছে ক্রেতার টান। ক্রেতাদের চাপ কম হলেও কাঁচাবাজারের দাম কমেনি কেন এমন প্রশ্নে কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, উত্তরবঙ্গের লালমনির হাটসহ বেশকিছু নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এজন্য বাজারে কাঁচাবাজারের সরবরাহ কম হওয়া দাম বেড়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে গত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন আরোপ করেছে সরকার, যা পরিচিতি পেয়েছে শাটডাউন নামে।
মালিবাগ কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ভালো ও একটু কম দামে বাজার করার জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা হচ্ছে কারওয়ান বাজার। কিন্তু লকডাউনের কারণে সেখানে যেতে পারছি না। এখন যে অবস্থা তাতে কারওয়ান বাজার যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কিছু দরকার হলে একটু বেশি দামেই মালিবাগ কাঁচাবাজার বা পাশে মহল্লার বাজার থেকেই কিনছি। মোজাম্মেল হোসেনের মতোই অধিকাংশ সবজি গ্রাহকরা বেশি দামেই কিনছেন। তবে এতে বিপাকে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষেরা।