দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরুন করতে সম হয়েছি বলেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি .পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের েেত্র বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে সাফল্য সর্বাধিক। আর এই উন্নয়নের একজন অংশীদার পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। সরকারের এই উন্নয়নের বার্তা নিয়ে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে তার মনোনয়নের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। আমাদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেন, এতদিন সরকারের একটি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি এখন মানুষের বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। অবশ্য তা নির্ভর করছে যদি নেত্রী আমাকে সেই সুযোগ দেন। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার সেল’এর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এর জন্ম হাজীগঞ্জ উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামে ১৯৬৪ সালে। পিতা মরহুম নূরুল হক ভূইয়া ছিলেন বৃহত্তর গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠা মোহাম্মদ হোসাইন স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি একটি বহুজাতিক কম্পিউটার কোম্পানীর হার্ডওয়ার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ৯০-৯৬ পর্যন্ত ছিলেন সেনা কল্যাণ সংস্থায়। ৯৬ সালে যোগ দেন পাওয়ার সেলে। ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন পাওয়ার সেলের ডিজি হিসেবে। দীর্ঘ ৫ বৎসর এ পদে থেকে তিনি দতা ও সততার স্বার রেখে সরকারের আস্থাভাজন হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পাওয়ার সেল কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। অলাপকালে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সেক্টরের অভূতপূর্ব উন্নয়নে অংশিদার হতে পেরে আমি গর্বিত। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০,০০০ মেগাওয়াট। নতুন করে বিদ্যুতায়ন হয়েছে লাখ লাখ কিলোমিটার এবং প্রায় ২ কোটি নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। এটা শেখ হাসিনার একটি বড় সাফল্য। শেখ হাসিনার সরকার আর এক মেয়াদে মতায় আসতে পারলে দেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে কোন ন্যূনতম সমস্যাও থাকবেনা। এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হোসাইন বলেন. আমার এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মানুষ সচারচর খুঁজে পায়না বা তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারেনা। বিপদগ্রস্থ বা বঞ্চিত মানুষের একটা বড় অংশই আমার কাছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন। আমি তাদের সঙ্গ দেই-কথা শুনি-ুদ্র সামর্থ্য দিয়ে পারলে সহযোগিতা করি-না পারলে শান্তনা দেই। আমার বাসা বাড়ী বা অফিস হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি এলাকার মানুষের জন্য উন্মুক্ত। যেহেতু আমার কাছে আসতে কোন প্রটোকল লাগে না তাই মানুষ আশা নিয়ে আমার কাছে আসেন। তিনি বলেন, যেহেতু আমি বিদ্যুৎ সেক্টেরে কাজ করছি এবং পেশায় প্রকৌশলী তাই সবার আগে আমি আমার এলাকায় বিদ্যুতায়নে মনোযোগী হয়েছি। গত ৫ বছরে চাঁদপুর-৫ সংসদীয় আসনের প্রায় ১ হাজার কি.মি. বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে জনগণের সেবার মাধ্যমে শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালন করেছি। আমার দুই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। সরকারের অন্যান্য উন্নয়ন বিভাগে কর্মরত আমার প্রকৌশলী বন্ধুদের সহযোগিতায় অবকাঠামো খাতেও বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। নিজ উদ্যোগে এবং শুভানুধ্যায়ী-বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় শিা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগিতা করেছি। আমি আমার ুদ্র সমর্থ্য দিয়ে, ভালো ব্যবহার দিয়ে জন মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন- যেহেতু মানুষের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু এলাকার মানুষ চায় বিধায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করতে পারি। ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি আল্লাহ পাক আমাকে সুযোগ দেন তাহলে আমি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিকে মনের মতো সাজাতে চাই। এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-একটি ব্যস্ততম বাজার। হাইওয়ের উপর ব্যাপক যানজটের কারণে বাজারের ব্যবসায়ীরা মারাত¦ক ভাবে তিগ্রস্ত হচ্ছেন। বৃহৎ আঙ্গিকে আমার কাজের সুযোগ হলে আমি এখানে একটি বাইপাস করবো। চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কটি ৪ লেন করা সময়ের দাবী। আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিকে এটাকে ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগের পাশাপাশি গৌরীপুর থেকে কচুয়া-হাজীগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কটি চলাচল উপযোগী করার উদ্যোগ নেব যাতে অত্র এলাকার সবাই কম সময়ে-কম কষ্টে ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এলাকার শিার বিষয়ে তিনি বলেন বহু যুগ আগে থেকেই বৃহত্তর কুমিল্লা তথা চাঁদপুর অঞ্চল দেশের শিা-সরকারী চাকরিতে নেতৃত্ব দিত। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। চাঁদপুর জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুব প্রয়োজন। মনোনয়ন পাওয়ার েেত্র কাকে আপনি প্রতিদ্বন্ধি মনে করেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিক। তবে তিনিতো তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন তাই নেত্রী অবশ্যই নতুন মুখকে প্রাধান্য দেবেন। নির্বাচনী ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার জন্য এলাকার ৮০ ভাগ মানুষ বিনা স্বার্থেই কাজ করবে কারন ২০ বছর যাবৎ আমি তাদের পাশে আছি। তাই অন্য প্রার্থীর যে টাকা লাগবে তার দশ ভাগের এক ভাগ টাকায় আমি নির্বাচন করতে পারবো।