মোহাম্মদ কামাল হোসেন
বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্রনায়ক মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির) উন্নয়ন ও শান্তির রোল মডেল মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, হাজীগঞ্জ- শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার জাতীয় সংসদস সদ্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ৮শত কোটি টাকার অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারের হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। তিনি ১৯৯৬ সরকারের আমলে স্বরাষ্ট মন্ত্রী হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করেছেন। দেশের বড় বড় সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখায় বিশে^র দরবারে সুনাম কুড়িয়েছে। দেশের সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে একজন সৎ,নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক মন্ত্রী হিসেবে সবার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
১৯৯৬ সালের আগে হাজীগঞ্জ-শাহস্তিতে আইন শৃঙ্খলা ছিল চরম অবনতি। মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি কঠোর হাতে সন্ত্রাসীদের কে দমন করে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। গত ২৫ বছরে হাজীগঞ্জ-শারাস্তিতে কোন রাজনৈতিক হত্যা কান্ড নেই। নেই কোন রাজনৈতিক সহিংসতা ও হয়রানি। সকল দলের মানুষ শান্তি শৃঙ্খলা ভাবে বসবাস করে। এই কঠোরতার কারণে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে সকল শ্রেণীর মানুষ মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির প্রশংসায় করতে শুরু করে। এতে করে দলের বাহিরের মানুষগুলোও মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।
হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল বিচ্ছিন্ন। ছিলানা কোন পাকা রাস্তা। স্কুল কলেজ ভবনের কথা চিন্তাও করা কঠিন ছিল। বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো। অসংখ্য বাঁেসর সাকু ছিল। স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা,বিধবা ভাতাসহ কোন ধরণের সুবিধা ছিল না।
মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি গত ২৫ বছরে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিচ্ছিন্ন দুটি উপজেলা কে মাষ্টার প্ল্যান মোতাবেক উন্নয়ন শুরু করেন। বর্তমানে হাজীগঞ্জ শারাস্তির সাথে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোই উন্নত যা অতি সহজে যে কোন প্রান্তে থেকে আশা যাওয়া করা সহজ।
নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ (১) হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ৭৫০টি কালভাট ব্রিজ নির্মাণ। (২) আর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ের মানুষের আত্মার সেতুবন্ধন তৈরিতে ডাকাতিয়া নদীর উপর কয়েকশো কোটি টাকায় ব্যয়ে ৯ টি বিশাল বড় সেতু নির্মাণ। (৩) ৫০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছে। (৪) গৃহহীনদের ৯শর অধিক গৃহহীনদের মাঝে গৃহ পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। (৫) হাজীগঞ্জ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ সরকারিকরণ। (৬) হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল জাতীয় সরকারিকরণ। শাহরান্তিতেও দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে। করা হয়েছে শেখ কামাল ভবন নির্মাণ ও শেখ রাসেল প্রযুক্তি ভবন নির্মাণ চারতলা। আধুনিক শাহরাস্তি উপজেলা কমপ্লেক্স।
(৭) হাজীগঞ্জ শারাস্তির প্রত্যেক ইউনিয়নে স্কুল ও মাদ্রাসা ভবন নির্মান । (৮) বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থা সকল ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা প্রধান করা হয়েছে । (৯) হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শেখ কামাল ভবন নির্মাণ ও শেখ রাসেল প্রযুক্তি ভবন নির্মাণ চারতলা করা হয়েছে। (১০) হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭টি চারতলা (কম বেশি) ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। (১১) অসহায় ও দুস্থ মানুষদের চিকিৎসা খরচ বহন করেন । (১২) অসহায় ও মেধাবী ছাত্রদের নিজস্ব অর্থায়নে সহযোগিতা করেন। (১৩) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছে,মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং তে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। (১৪) ১০০% ভাগ বিদুৎতায়ন (হাজীগঞ্জ),(১৫) হাজীগঞ্জে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ৫ তলা বিশিষ্ট পলিটেকনিকাল ভবন নির্মান (১৬) হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন। হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে দুটি মডেল মসজিদ নিমার্ণ চলমান। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ডেজিং এর মাধমে নদী খনন করা হয়েছে। এছাড়াও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। শাহরািস্ততে ফায়ার সার্ভিজ ভবন, শাহরাস্তি পৌরসভার ভবন নিমার্ণ। অর্থ্যাৎ এমন কোন সেক্টর নেই মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির হাতের ছোঁয়া । বুধবার রাত ৯টার সময় আমার কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ কামাল হোসেন মোবাইল ফোনে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত ২৫ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবং আমার প্রচেষ্ঠায় হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বাসীর জন্য প্রায় ৮শত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। প্রতিটি সেক্টরে আমি সকল ধরণের উন্নয়ন করেছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে কোন সন্ত্রাসীর জায়গা হবে না। যে সন্ত্রাসী করার চেষ্ঠা করবে কঠোর হাতে দমন করা হবে। সে যে দলের হউক। আমি ছাই হাজীগঞ্জ-শারাস্তির প্রতি মানুষ শান্তি-শৃঙ্খলা ভাবে বসবাস করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদে আসা-যাওয়া করবে। সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে চলে পেরা করবে নিরবিগ্নে। এছাড়াও আমি রহিঙ্গা মুসলমানদেরকে আর্থিক অনুদানসহ খাদ্য সামগ্রি দিয়ে সহযোগিতা করেছি। করোনাকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ শাহরাস্তিতে কোটি টাকা খরচ করে কর্মহীন মানুষদেরকে আর্থিকসহ খাদ্য সহযোগিতা করেছি। আমি যতদিন বেঁেচ থাকবো সাধারণ মানুষের পাশে থাকবো। মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।