জানা যায়, জন্মের সময় কোনো অস্বাভাবিকত্ব ছিল না। কিন্তু তিন মাস পর নবজাতকের মূত্রথলি ফুলতে শুরু করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা-মা। পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন আরও দুটি পুরুষাঙ্গ গজাচ্ছে শিশুটির। খবর ডেইলি মিরর।
চিকিৎসক দলের প্রধান শাকির সালিম জাবালির বক্তব্য অনুযায়ী, এক রাতে শিশুটির মা ও বাবার নজরে আসে মূল পুরুষাঙ্গে পাশে রয়েছে দুটি অতিরিক্ত মাংশপিণ্ড। তারপরই ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন তারা। যার একটি স্বাভাবিক পুরুষাঙ্গের ঠিক পাশ দিয়ে গজিয়ে উঠেছিল এবং অপরটি অণ্ডকোষের নিচ থেকে তৈরি হয়েছিল। ক্রমশ ফুলে উঠছিল সেই মাংসপিণ্ড।
ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেন, মূল অঙ্গটি কাজ করছে, বাকি দুটির সেরকম কোনো কার্যক্ষমতা নেই। তখনই বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত শিশুটির শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একটি গজাচ্ছে প্রধান পুরুষাঙ্গের গোড়া থেকেই, আর একটি বের হচ্ছে মূত্রথলির তলার দিকে। তবে নতুন দুটি জননাঙ্গ বাদ দিতে হবে কারণ, তাতে কোনো মূত্রনালি জন্মায়নি।
চিকিৎসকরা এই ঘটনায় আরও বেশি আশ্চর্য হয়েছেন এই কারণে, মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় কোনো ক্ষতিকর ড্রাগের প্রভাব পড়েনি শিশুটির ওপর। এমনকি তার পরিবারেও কারও এমন জিনগত সমস্যার ইতিহাস নেই।
চলতি সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সার্জারি কেস রিপোর্টে ডা. শাকির সালিমের নিবন্ধের পরই এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘ট্রাইফিলিয়া’।
প্রায় ৬০ লাখের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে, একথা বললেও চিকিৎসকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন কোনো ঘটনার উল্লেখ নেই। ২০১৫ সালে ভারতে একই ঘটনা ঘটলেও তা কেউ কোনো জার্নালে প্রকাশ করেনি।