এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে শিক্ষার্থীরা যাতে বাড়িতে বসে পড়তে পারে সেজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন কোনও না কোনও মূল্যায়ন তো হবেই।
সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাদে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে চলতি বছরে প্রায় ৪০ লাখ এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীর ভাগ্য মূল্যায়ন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনা ছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়েই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পড়ানো না যায়, তা হলে অ্যাসাইনমেন্ট করা হচ্ছে, সেটা করেই মূল্যায়নে যাবো নাকি এসএসসির ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির মূল্যায়ন করবো? তাহলে এসএসসির কী হবে? এ ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণির মূল্যায়ন শুধু পাবো। কিভাবে মূল্যায়নটা হবে সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই আগের ফল মূল্যায়নের ভিত্তিতে অটোপাস করে যায়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশের ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা অংশ নেয় এবং তাদের মধ্যে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ জন পাস করে। সেই হিসাবে এ বছর প্রায় সেই সাড়ে ১৭ লাখ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের দিকে যেতে হবে। এরপরও পরীক্ষার্থীদের ক্ষতির মুখে ফেলানো যাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে প্রথম শনাক্তের পর ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।