চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মো.আনোয়ার উল্লাহ’র বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়নে ঘুষগ্রহন সংক্রান্ত সম্প্রতি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.এইচ.এম শাহরিয়ার রসুল কক্ষে অর্থ মন্ত্রানালয়ের উপ-মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. কবির হোসেন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষকদের লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য গ্রহণ করেন।
যদিও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মো.আনোয়ার উল্লাহ ভিডিওতে অর্থ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পকেটে নেয়া বস্তুটি সাদা টোকেন বলে দাবি করেন এবং এটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলেও দাবি করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের বেতন স্কেল সংক্রান্ত কোনো কাজ এখনো শুরু হয়নি। ওইদিন পেনশন নিতে আসা এক ব্যক্তির সাদা কাগজের টোকেন টেবিলে না রেখে পকেটে রাখি। এটি সুকৌশলে কে বা কাহারা ভিডিও করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) পোস্ট দেয়।
তিনি আরো বলেন, আমি বিভিন্ন মেয়াদে কচুয়ায় দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর সুনামের সাথে এই উপজেলায় বিভিন্ন মানুষকে সেবা দিয়ে আসছি। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কিছু না। আমি দোষী হলে তদন্তপূর্বক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
তদন্তকালীন সময়ে কচুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন,কোয়া কোর্ট সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মিজানুর রহমান,প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি নেতা ওমর খৈয়াম বাগদাদী রুমি,সহকারী শিক্ষক একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন সুমন ও আনোয়ার হোসেন পৃথক ভাবে তাদের বক্তব্যে উপজেলা হিসাররক্ষন কর্মকর্তা কাজী আনোয়ার উল্যাহ একজন সৎ ও ভালো অফিসার বলে দাবি করেন এবং কাজী আনোয়ার উল্যাহ একজন নির্দোষ ব্যক্তি হিসেবে দাবি করে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জোড়ালো ভাবে বক্তব্য পেশ করেন।
তদন্ত কার্যক্রম শেষে অর্থ মন্ত্রানালয়ের উপ-মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক মো. কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্ত চলছে। পুরো তদন্ত শেষ হওয়া না পর্যন্ত অগ্রগতির সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছি।