হাজীগঞ্জে সরকারি খাস বিল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া যায়। কালচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কবির বকাউলের বিরুদ্ধে এমন দূরসাহসিক অভিযোগ উঠেছে। খাস জমি থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে মেশিন বন্ধ রেখেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা বাহাদুর। ঘটনাটি উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের কালচোঁ মাঠে।
স্থানীয়রা জানান,কালচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাট ভরাটের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির বকাউলসহ অন্যান্যরা এই সরকারী খাস জমিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন।
৯ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে শ্যালো মেশিন চালু করেন। তবে বুধবার সকাল ১০ টায় পর্যন্ত মেশিন চালু থাকলে ইউনিয়ন তওসিলদার লোক পাঠিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এরপূর্বে কালচোঁ গ্রামের মজুমদার বাড়ির লোকজন খাস জমির মালিকানা দাবি করে মাটি উত্তোলনকারীদের বাঁধা দেন। তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে বুধবার সকাল ৮টায় পুনরায় ড্রেজার মেশিন চালু করলে তারা মাটি উত্তোলনকারীদের বাঁধা দিলে তারা পিছু হটেন।
পরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির বকাউল, স্থানীয় মোস্তফা কামাল তপদার ও বাহার মজুমদার কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে ও খাস জমি থেকে মাটি উত্তোলনের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার নিকট একটি লিখিত আবেদন করেন।
তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই কর্মকর্তা ইউনিয়ন তওসিলদারকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক তার দপ্তরে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এ পর্যন্ত শ্যালো মেশিন দ্বারা মাটি কাটা যাবেনা বলে আবেদনকারীদের মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ড্রেজার মেশিন নিষিদ্ধ সেহেতু ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা যাবেনা। এবার খাস হোক আর মালিকানা হোক। কেবল মাত্র লেবার দিয়ে মাটি কাটতে হবে। এছাড়া সরকারী খাস সম্পত্তি থেকে মাটি কাটার জন্য আমি অনুমতি দিতে পারবোনা। এটা অনুমতি দেওয়ার মালিক ভূমি মন্ত্রনালয়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কবির বকাউল বলেন, এই সম্পত্তি থেকে অনেকে মাটি বিক্রি করেছেন। আমরা বিদ্যালয় মাঠ ভরাটের জন্য ড্রেজার মেশিন বসিয়েছি। অল্প কয়েক ঘন্টা মাটি কাটার পর বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাস জমি থেকে মাটি কাটার জন্য আমার কাছে অনুমতি চেয়েছে, কিন্ত এ বিষয়ে আমি অনুমতি দিতে পারিনা। অনুমতি দিবে ভূমি মন্ত্রনালয়। তারা যেন খাস জমি থেকে আর মাটি না কাটে এ জন্য বিদ্যালয়ের লোকদের মৌখিক ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে সাথে সরকারী খাস জমির সীমানা নির্ধারন করার জন্য তওসিলদারকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।