কর্মব্যস্ত দিনের শেষে সবাই ক্লান্ত থাকেন। শরীরের কার্যক্ষমতা কমে আসে। সারা দিন পরিশ্রমের পর সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রামের খোঁজে ছটফট করতে থাকে মন ও শরীর। এজন্য বিশেষজ্ঞরা রাতে হালকা খাবারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা, রাতে ভারী খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। শরীরকে সুস্থ রাখতে ডিনারের পরও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। আর সেই সব নিয়ম মেনে না চললে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবার তাহলে নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক-
* অফিসে পরিশ্রমের পর দিন শেষে বাসায় ফিরে রাতের খাবার তৈরি করতে বা খাবার খাওয়ার আগে ছোট্ট একটা ড্রিংকস করে তৃপ্তি খোঁজে থাকেন অনেকে। রাতের খাবার খাওয়ার আগে ড্রিংকস করা মোটেও উচিত নয়। এতে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হয়। অ্যালকোহলের পর খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর অ্যালকোহলের পর ফ্যাটি ফুড খাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়।
* রাতে খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। তা না হলে সারাদিনে শরীরে পানির অভাব থাকলে মাথার যন্ত্রণা, কনস্টিপেশন এবং ক্লান্তির মতো সমস্যা হতে পারে। পানি কম খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা তৈরি হয়ে ওজন বাড়তে পারে। খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা হৃাস পায়।
* প্লাস্টিকের বাসনে যতোই লেখা থাক এটা সেফ, তারপরও প্লাস্টিক জাতীয় কিছু মাইক্রোওভেনে প্রবেশ করাবেন না। অনেকে রাতের খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করেন। এটা কখনোই প্লাস্টিকের বাটিতে নয়, কাঁচের বাটিতে গরম করা উচিত। কারণ, প্লাস্টিকের বাটিতে বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকে যা শরীরে প্রবেশ করে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
* রাতের খাবার তালিকায় অবশ্যই সবজি রাখবেন। প্রয়োজনে খাবার তালিকায় পরিবর্তন আনুন। খাবারে সবজি না থাকলে ভবিষ্যতে হার্টের সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে। গবেষণা অনুযায়ী, শুধুমাত্র সবজি না খাওয়ার পর প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
* সবজির পাশাপাশি প্রোটিনও রাখুন। প্রোটিন না থাকলে দ্রুত খিদে পাবে এবং উল্টো-পাল্টা স্ন্যাকস খাওয়ার ফলে শরীর খারাপ হয়ে পড়বে। তাই রাতের খাবারে অবশ্যই এক টুকরো মাছ বা দু-টুকরো মাংস রাখুন।
* খাবার খাওয়ার সময় অন্য কোনো কাজের ব্যস্ততা থাকে। তাই বলে দ্রুত খাবার খাওয়া যাবে না। ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে ভালো করে চাবিয়ে খাবার খান। দ্রুত খাবার খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে।
* রাতে খাবার খাওয়ার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই একটু হাঁটাহাঁটি করুন। খাবার খাওয়ার পর পরই যারা শুয়ে পড়েন বা বসে থাকেন তারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসব কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা হতে পারে।