বগুড়ার গাবতলীর সৈয়দ আহম্মেদ কলেজের একাদশ শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্রী নাজনীন আক্তারকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তার স্বামী সাকিব হোসেন। তবে নাজনীনের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ জুন) নাজনীনের স্বামী সাকিব হোসেনের বাবার ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওড়না ও নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তবে উদ্ধার হওয়া ওড়না ও নখ নাজনীনের কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানান তিনি।
এদিকে নাজনীন আক্তারের লাশ উদ্ধারে গত দুই দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, ফেসবুকের মাধ্যমে বগুড়া সেনা নিবাসের ঝাড়ুদার সাকিব হোসেনের সাথে বগুড়া সদরের সাবগ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে কলেজছাত্রী নাজনীন আক্তারের পরিচয় হয়। ভুয়া ঠিকানা দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর নাজনীনকে বিয়ে করেন সাকিব।
নাজনীনের ভাই আব্দুল আহাদ জানান, গত ২৪ মে বাবার অসুস্থতার কথা বলে নাজনীনকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোরে বাবার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সাকিব।
দুই দিন ধরে নাজনীন ও সাকিবের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ২৬ মে বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। এর সূত্র ধরে সাকিবকে আটক করে পুলিশ। সাকিব তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করায় সে অনুযায়ী গত দুই দিন ধরে বরিশালের দুই উপজেলায় নাজনীনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সোমবার (৩১ মে) সাকিবের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় তল্লাশি চালায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী থানা পুলিশের সহায়তায় ওই উপজেলার বাটাজোরের হরহর গ্রামে সাকিবের বাবা করিম হাওলাদারের ভাড়া বাসাসহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় তারা। অভিযানের এক পর্যায়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি ওড়না এবং একটি নখের অংশ বিশেষ উদ্ধার হয়। তবে তার লাশ উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার হওয়া ওড়না ও নখ নাজনীনের কিনা তা নিশ্চিত নয় পুলিশ।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, এই কয়েক দিনে একটি লাশ পঁচে গলে যেতে পারে না। গলে গেলেও কঙ্কাল থাকার কথা। সাকিবের দেখিয়ে দেয়া সেপটিক ট্যাংকে কিছুই পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।