পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত লন্ডনের বাসিন্দা মাইরা জুলফিকার (২৫) খুন হওয়ার আগে পুলিশের কাছে তার জীবনের হুমকির কথা জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।
২০ এপ্রিল মাইরা এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে উল্লেখ করেন, এক ব্যক্তি তাকে বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করে। তার কয়েকদিন আগে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে।
সেসময় তিনি বেঁচে যান। কিন্তু ওই ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল, ‘তুমি পালাতে পারবে না, আমি তোমাকে খুন করব।’
সবশেষ গত ৩ মে তিনি লাহোরে নিজ ফ্ল্যাটের ভেতর খুন হন। এরপর থানায় মামলা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আইনি নথিপত্র থেকে জানা গেছে, মাইরাকে হুমকি দিচ্ছিল দুজন পুরুষ, তারা দুজনেই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
পাকিস্তানের পুলিশ হত্যার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্ত অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছ।
মাইরাকে দুবার গুলি করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করেও হত্যা করা হতে পারে।
মাইরা পারিবারিক একটি বিয়েতে যোগ দিতে দুই মাস আগে মা-বাবার সাথে পাকিস্তানে যান। তার বাবা-মা ব্রিটেনে ফিরে গেলেও তিনি পাকিস্তানেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন।
০৪ মে লাহোরে মাইরা জুলফিকারের দাফন হয়। সেখানে তার বাবাও উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী, মাইরা বেলজিয়ামের নাগরিক। তবে তিনি পূর্ব লন্ডনের ফেলথাম শহরে থাকেন। মিডেলসেক্স ইউনিভার্সিটিতে তিনি আইন বিষয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সূত্র: বিবিসি, স্কাই নিউজ