রেজিষ্ট্রেশনবিহীন সিএনজি অটোরিক্সার (থ্রি-হুইলার) মালিক ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের জন্য গণসচেতনতা সভার আয়োজন করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ। ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর পুলিশ লাইনস্ এ গণসচেতনতা সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান পিপিএম-বার। তিনি বলেন, নো মাস্ক নো প্যাসেঞ্জার এ নীতিতে চালকরা মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী উঠাবেন না। তাহলে চালক যাত্রী উভয়ই করোনা থেকে রক্ষা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজের যে পরিচালনা পদ্ধতি। তা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন আসে। আমরা সমাজের বৈধ অবৈধ ভেদাভেদ রাখতে চাই না। আমরা কাজ করতে চাই। ২০০৫ সালে চাঁদপুরে সিএনজির লাইসেন্স ছিল ৫ হাজার। তা বর্তমানে হয়েছে ৬ হাজার ৭শ ১টি। তবে গোয়েন্দা রিপোর্টে চাঁদপুরে বৈধ লাইসেন্সের দ্বিগুন অবৈধ সিএনজি চলাচল করে থাকে।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের কোন সদস্য দ্বারা কেউ জুলুম নির্যাতনের শিকার হলে আপনারা আমাদের কে অবহিত করেন। আমরা ব্যবস্থা নেব। গত ৮ মাসে আমরা কোন আইন প্রয়োগ করতে পারি নাই। আমরা জুলুমের প্রয়োগ চাই না। আমরা চাই শান্তি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মোঃ আসাদুজ্জামান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্ল্যাহ, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, শরিফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন (২৫০৩) সভাপতি কাজী শাহরিয়ার হোসেন ওমর ফারুক, সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা কামাল হোসেন, সিএনজি মালিক ও চালক আলমগীর হোসেনসহ আরোও কয়েকজন মালিক শ্রমিক।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর জেলা পুলিশের ডিআই-১ তোতা মিয়া, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় মালিক ও চালকরা বলেন, চাঁদপুর জেলায় স্থায়ী কোন স্ট্র্যান্ড নেই। যা অন্য জেলায় আছে। আর এ স্ট্র্যান্ড না থাকায় আমাদের কে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অবৈধ পন্থায় সিএনজি আমরা ক্রয় না করে, সিএনজি বিক্রয়ের ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করে থাকি। তবে আমরা লাইসেন্স করতে পাচ্ছি না। অবৈধ প্রন্থায় সিএনজি ক্রয় করলে আমাদের ১ থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভ হয়। তাহলে সিএনজি ডিলারের কাছ থেকে ক্রয় করে কি লাভ। মতলব সেতুতে কিছু হয়রানির শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের লাইসেন্সবিহীন সিএনজিগুলোর লাইসেন্সের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাই।