চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার গত ২ মাসে প্রায় দেড় শতাধিক মামলায় দুই লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। বেশীরভাগ স্বাস্থ্য বিধি, ভোক্তা অধিকার, বালু মহাল/মাটি কাটা ব্যবস্থাপনা, পন্য পাটজাত মোড়কের ব্যবস্থাপনা এবং ওজন পরিমাপ মানদন্ড আইনে ২ লাখ ৫০ হাজার ৮ শত ৯০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোমেনা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসকল মামলা জরিমানা আদায় করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। যা ইতিপূর্বে কোন ইউএনও এত ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাতে দেখা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সিও ফয়শাল হোসেন জানান, গত ৫ এপ্রিল থেকে চলতি মাসের ১৯ মে পর্যন্ত চলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রম্যমাণ আদালত। এর নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোমেনা আক্তার।
তিনি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষেই এসকল ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে যারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা না মেনে চলাচল করেছেন তাদেরকেই ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় এনে জরিমানা আদায় করেন।
এক্ষেত্রে ১৫০ টি মামলার মধ্য স্বাস্থ্য বিধি আইনের মামলার সংখ্যা বেশি রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্য বিধি আইনে ১৪০ টি মামলার বিপরীতে নগদ অর্থের জরিমানা গুনতে হয় এ আইন না মানায় ব্যক্তিদের।
অপরদিকে ভোক্তা অধিকার, বালু মহাল/মাটি কাটা ব্যবস্থাপনা, পন্য পাটজাত মোড়কের ব্যবস্থাপনা এবং ওজন পরিমাপ মানদন্ড আইনের ১০ মামলা ভ্রাম্যমান আদালতকে জরিমানা দিতে অভিযুক্তদের। সর্বমোট ১৫০ টি মামলা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮ শত ৯০ টাকা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষকে করোনার বিষয়ে সচেতন করতে আমাদের এই অভিযান,যারা নিয়ম মানছেন না তাদের জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।
এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেয়েছি, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা চাই।