এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক-২০১৯ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। আজ বুধবার বিকেলে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয় একুশে পদকপ্রাপ্তদের তালিকা। সেখানে জানানো হয় আজম খানকে শিল্পকলা- সঙ্গীতে মরণোত্তর এ পদক দেয়ার কথা।
২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হয়ে এ পদক তুলে দেবেন। পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি সোনার পদক, সনদপত্র ও দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হবে।
২৮ ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৫০ সালে ঢাকার আজিমপুরের ১০ নং কলোনীতে জন্ম মাহবুবুল হক ‘আজম’ খানের। তাঁর বাবার নাম আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন। বসবাস করতেন বাবার কমলাপুরের বাড়িতে। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা বাবা, মা এবং চার ভাই ও এক বোনের সাথে। বাবা ছিলেন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলা পপ সঙ্গীতের পথিকৃৎ তিনি। ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন তিনি ৷ তাঁর চটুল পপ আঙ্গিকের সংগীত বাংলাদেশের যুব সমাজের কাছে পেয়েছে বিপুল সমাদর ৷ শুধু বাংলাদেশেই নয় গোটা উপমহাদেশেও আজম খান পেয়েছেন অসাধারণ জনপ্রিয়তা৷