ফরিদগঞ্জের বালিথুবায় হাজী আব্দুল ওদুদ এন্ড ছফি উল্লা মিয়া ব্রিক কোং (জিকজাক) নামক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের অগ্রীম (ক্রয়) করা ইটের টাকা আত্মসাতে বাঁধা দেওয়ায় ফিল্ডের পরিচালক ওমর ফারুক তার সহোদর (সৎ ভাই) আবদুল আজিজকে চাঁদাবাজি সাজানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে ৭ বছর পূর্বে দুই পরিবারের কয়েকজন মিলে হাজী আব্দুল ওদুদ এন্ড ছফি উল্লা মিয়া ব্রিক কোং (জিকজাক) নামক প্রতিষ্ঠা করে আজিজ। প্রতিষ্ঠা পরবর্তী মো. কামাল হোসেন ও মো. ওমর ফারুক ব্রিক ফিল্ড পরিচালনা করে আসছিল।
পরিচালক কামাল হোসেন ও ওমর ফারুকের একক সেচ্ছাচারিতা কারনে তার সহোদর (সৎ ভাই) আব্দুল আজিজ তার মালিকানা অংশ বিক্রয় করে পেলে। কামাল হোসেন ও ওমর একক সেচ্ছাচারিতা এবং নামে বেনামে অর্থ আত্মসাতের কারণে ফিল্ডটি বেগতিক হওয়ায় তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে বাকী মালিকরা মিলে নতুন করে মালিকানা সংগ্রহ করে ফিল্ড চালু রাখে।
পুনরায় ফিল্ডের ভগাঙ্কুর পরিস্থিতি হওয়ায় সকল মালিকরা মিলে আব্দুল আজিজের স্বরনাপন্ন হয়। এহেন পরিস্থিতিতে আজিজ ও বালিথুবা বাজারের ব্যবসায়ী আল-আমিন ভূঁইয়া সহ ৫ লাখ ইট বাবদ অগ্রীম ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে। ঐ টাকা দিয়ে মালিকরা ফিল্ড পরিচালনা করে আসছিল। আব্দুল আজিজ ও ব্যবসায়ী আল-আমিন তাদের ইট গুলো উত্তোলন করতে প্রতিনিয়ত ব্রিক ফিল্ডে অবস্থান এ পর্যন্ত ৪ লাখ ইট উত্তোলন করে। এখনো পর্যন্ত ১ লাখ ইট উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গত কিছুদিন যাবত আজিজের সহোদর (সৎ ভাই) ওমর ফারুক নিজের অপরাধ লুকাতে আজিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাধ ও ফরিদগঞ্জ থানার ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে ৫ লাখ ৫০ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তোলে। এ বিষয়ে অন্যান্য মালিকরা ব্রীকফিল্ডের প্যাডে লিখিত ভাবে আজিজ কোন ধরনের টাকা নেয়নি বলে জানান।
লিখিত ঐ কাগজটি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি, চাঁদপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করেন এবং ঐ কাগজে ওমর ফারুকের সকল কু-কীর্তি তুলে ধরেন।
এদিকে ওমর ফারুক তার সহোদর (সৎ ভাই) আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে ব্রীক ফিল্ড পরিচালক মো. কামাল হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন নয়ন, শাহ আলম তপদার, মাকছুদা আমিনের ছেলে মো: মারুফ হোসেন, আতিকুর রহমান দাবি করেন।
এই বিষয়ে আব্দুল আজিজ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবি করে বলেন, ওমর ফারুক আমার সহোদর (সৎ ভাই)। আমার বাবা একজন সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। ফারুকের কু-কীর্তির কারনে বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় গত ১৭ বছর পূর্বে তাকে তেজ্য করেন। কিন্তু তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাকে কখনও দূরে ঠেলে দেয়নি। বিভিন্ন সময় আমাকে এবং আমার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেই আসছে, তারপরও ছোট হিসেবে সব সময় ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছি। সে সুন্দর লেবাসের আড়ালে মানুষের অর্থ আত্মসাতসহ অপকর্ম করেই আসছে। তার নিজের অপরাধ দামাচাপা দিতেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপরাধ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে ওমর ফারুককে ব্রিকফিল্ডে গিয়ে খুঁজে না পাওয়ায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল একাধিক বার ফোন দিলেও সে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।