‘কমান্ডো’ সিনেমার ডিরেক্টর ও প্রডিউসারকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার এবং সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা ও চাঁদপুরে এ সিনেমার কিছু অংশের শুটিং বন্ধের দাবিতে চাঁদপুর জেলা কওমি যুব সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়েছে।
আগামি ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারি চাঁদপুরে সিনেমাটির শুটিং হওয়ার কথা। ৬ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
চাঁদপুর জেলা কওমি যুব সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মো. আবুল হাসানাতের সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক মুফতি নূরে আলমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা কওমি সংগঠনের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুফতি সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কামান্ডো ছবির ট্রেলারে ইসলামকে খাট করা হয়েছে। একই সঙ্গে সুন্নতি পোশাককে অবমাননা করা হয়েছে। ইসলাম এবং ইসলামের চেতনার প্রতীক কালেমা খচিত পতাকাকে হেয় করা হয়েছে। কালেমার পতাকা সন্ত্রাসী প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে। ভারতীয় অভিনেতা দেব তার অভিনয়ের মাধ্যমে মুসলমানদের জঙ্গি হিসেবে সেখানে বোঝাতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমান এ ধরনের সিনেমা মেনে নিতে পারে না।
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত হোসেন, সহ-সভাপতি মাওলানা মুফতি শাহাদাৎ হোসেন কাশেমী, মাওলানা নুরুল আমিন জিহাদী, সহ-সভাপতি মাওলানা হাবিবুর রহমান, সহ-সম্পাদক মুফতি মাহবুবুর রহমান, মুফতি তারেক হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইদ্রিস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি আশেক এলাহী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা এ ধরনের বিতর্কিত ছবির শুটিং চাঁদপুরের হতে দেবেন না বলেও জানান।
তারা বলেন, শাপলা মিডিয়ার সত্ত্বাধিকারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান চাঁদপুরের সন্তান। তিনি হয়তো না বুঝে ছবিতে এ ধরনের বিষয় দেখিয়েছেন। তাই তার প্রতি আহ্বান, আপনি ইসলাম অবমাননাকারী ছবির শুটিং অবিলম্বে বন্ধ করুন। ইসলাম কোনোভাবেই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় ও লালন করে না। কিন্তু অনেকেই সিনেমার মাধ্যমে জঙ্গিবাদকে ইসলামের সঙ্গে জড়িয়ে দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই ধর্মপ্রাণ মুসলাম মেনে নেবে না।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ‘কমান্ডো’র টিজার বক্তব্যের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ তারেক খান ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন আবু সাঈদ।
মানববন্ধন শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কমান্ড ছবির শুটিং বন্ধে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।