আলোচিত নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ২১ হাজার ১১৫ ভোটারের ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন ১৫১ জন সাংবাদিক। সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য ৩৪টি যানবাহনের অনুমতি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান, তার অফিস থেকে ৮৭ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য ২২টি যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইয়েদ আনোয়ার খালেদ জানান, তার অফিস থেকে ৬৪ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য ১২টি যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, একটি নির্ভেজাল ও সংশয় মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখানে ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৩টি টিমে ২৪ জন র্যাব, ৮০ জনের ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য এবং ২০০ জন পুলিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য সার্বক্ষণিক থাকবেন ৫ জন পুলিশ ও ১৩ জন করে আনসার সদস্য। ৩টি কেন্দ্রের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ৭টি জরুরি টিম রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও দৈনিক যুগান্তরের নোয়াখালী প্রতিনিধি মনিরুজামান চৌধুরী বলেন, আমাদের জেলায় এত সাংবাদিক নেই, পর্যবেক্ষণ কাডধারীদের অধিকাংশই নামধারী সাংবাদিক। যে কোনো নির্বাচন আসলেই তথাকথিত সাংবাদিকদের আবির্ভাব হয়। এদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ও রয়েছেন। অনেকে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নামে ভুয়া পরিচয়পত্র বের করে পর্যবেক্ষন কার্ডের জন্য আবেদন করে। রিটার্নিং কর্মকর্তার উচিত কার্ড দেওয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া।
নোয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম বলেন, এ নির্বাচন ঢাকা থেকে অনেক সাংবাদিক এসেছেন। তাছাড়া জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা রয়েছেন। সবার কাগজপত্র দেখে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।
বসুরহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ১১৫ জন। পুরুষ ১০ হাজার ৬২১ এবং নারী ১০ হাজার ৪৯৪ জন। মোট ৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬১টি।
বসুরহাট পৌরসভায় ৩ জন মেয়র পদে, সংরক্ষিত ৩টি নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ জনসহ মোট ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের মির্জা (নৌকা), বিএনপির কামাল উদ্দিন চৌধুরী (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র মোশারফ হোসেন (মোবাইল ফোন)।