আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
‘কিছু মানুষ মিটিং করছে, কী করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায়’, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের শক্তিই আওয়ামী লীগের শক্তি। আমরা জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে।’
‘বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায়, জনগণ তাদেরকে কী আশায় ভোট দেবে?’ এসব প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা দেশের গরিবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম-আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কী?’
দেশের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে, যারা হাজার অপরাধকারীকেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও, তারা দুর্নীতির জন্য সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের জন্যই তারা মায়াকান্না করছে।’
খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় তিনি—এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে আমি প্রধানমন্ত্রী কেন, বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না, শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারব না। এসব ঘোষণার পরই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’