আগে করোনার আক্রান্তের হার ছিলো ১৩ শতাংশ, বর্তমানে এই হার বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ। আমরা চাইনা কঠোর লকডাউন দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা ভালো থাকতে এবং সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চাই।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং মাস্ক না পরলে চাঁদপুর জেলায় কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে। কারণ চাঁদপুর ৪৮টি ঝুঁকিপূর্ণ জেলার মধ্যে একটি।
১৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে আমি চাঁদপুরের ৮ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছি মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা এবং কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য। প্রত্যেক উপজেলায় এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরিধান না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকেই চাঁদপুরের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা নিয়ে আমরা ভার্চুয়ালি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিটিংয়ে যুক্ত হবো। এই মিটিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি যুক্ত থাকবেন। আলোচনার মাধ্যমে চাঁদপুর জেলার লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন,প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার মুজিবর্ষে কোন গ্রহহীন থাকবে না। সেই লক্ষ বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। সরকার গৃহহীন পরিবারগুলোকে ঘর দিচ্ছে। আর তা সরকারী জায়গা করে দিচ্ছে। এখানে কেউ বাধাঁ দেওয়ার কিছু নেই। আমি একজন ভিক্ষুক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত সবার জন্য জেলা প্রশাসক।
আপনাদের যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকের দরজা খোলা রয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সকল শ্রেনীর মানুষ সরকারের চলমান কাজে আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করবেন বলে আমি জেলা প্রশাসক হিসাবে সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য,হাজীগঞ্জ উপজেলা দ্বিতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে যাদের জমি ও ঘর নেই এমন ১০৫ টি পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দিতে যাচ্ছে। সেই লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি ও রাজারগাঁও ইউনিয়নে নতুন ভুমি অফিস উদ্বোধনের লক্ষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ হাজীগঞ্জে এ প্রথম আনুষ্ঠানিক আগমন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।
উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ প্রমুখ।