পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী তিনদিন বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। অপরদিকে যমুনা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যাপ্রবণ নদ-নদীর পানি মাঝে কয়েকদিন কমতে শুরু করলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের বরাত দিয়ে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, বুধবার নাগাদ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এসময়ে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা হতে পারে।
রোববার পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১টি পয়েন্টের মধ্যে পানি বেড়েছে ৫৮টিতে, কমেছে ৩৭টিতে। ৫টি পয়েন্টের পানির সমতলে অপরিবর্তিত আছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পূর্ব-উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে।
ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।