০৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ সালের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা এ মন্তব্য করেন।
আমলাদের বাড়াবাড়ি ও বেপরোয়া আচরণে সরকারের হাতে চরম হেনস্তার শিকার হয়েছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। তাদের বেপরোয়া আচরণের শিকার হয়েছেন অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক ও খাবার চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করা ফরিদ আহমেদ।
সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে মাস্ক, পিপিই ও বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় লুটপাটের খবর সামনে এসেছে। এমনকি স্বাস্থ্য খাতে নিয়োগেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসা কাজে জন্য জরুরি ভিত্তিতে হেলথ টেকনিশিয়ান নিয়োগে প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা দুর্নীতির খবর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা প্রকাশ করে। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম যখন ‘এখন এক কোটি দেব, পরে আরও পাবেন, ‘৩৫০ কোটি টাকার জরুরি কেনাকাটায় অনিয়ম’, ‘পড়ে আছে জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী’, ‘কিটের ঘাটতি নিয়ে দুই রকমের তথ্য’, ‘উৎপাদনের নয়, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিটি গোপনীয়তার’শিরোনামে নানা রিপোর্ট করে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেছেন, তখন আমলানির্ভর সরকারের হাতে চরম হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এই সংসদ সদস্য।
সাংসদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যারা সাংবাদিক রোজিনাকে আটকে রেখে অপদস্ত করেছেন, তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে সংখ্যার দিকে জোর দেয়। আর যারা সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার, আফগানিস্তান এমনকি উগান্ডার ওপরে বাংলাদেশ।
বিরোধীদলীয় এই হুইপ বলেন, বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক খবর প্রকাশ করলে শারীরিক নির্যাতনের পর মোবাইল কোর্ট দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয় এক আমলা। অথচ সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট অসাংবিধানিক।