আবারও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এবার এক লাফে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৯ টাকা। আগামী শনিবার থেকে এ দামে তেল বিক্রি হবে।
বৃহস্পতিবার তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নতুন দর অনুযায়ী এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৫৩ টাকায়, যা এত দিন বিক্রি হয়েছিল ১৪৪ টাকায়। আর ৫ লিটারের এক বোতল তেল বিক্রি হবে ৭২৮ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১২৯ টাকায়। আর পাম সুপার তেল পাওয়া যাবে প্রতি লিটার ১১২ টাকায়। তবে এ দফায় পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি এক টাকা কমানো হয়েছে।
করোনা মিডেল এ্যাড
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের জুনের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেহেতু ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৯৫ ভাগেরও বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেই পরিমাণ দাম বেড়েছে স্থানীয় বাজারে সেরকম বাড়েনি।
সংগঠনটি বলেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিতভাবে দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি, আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিগত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৬০ শতাংশ। একই সময়ে স্থানীয় দেশীয় বাজারে দাম বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন থেকে গত ১৯ মে গড়ে লিটারপ্রতি ১৩ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে রমজান এবং করোনা মহামারির কারণে ভোক্তাসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত প্রতি লিটারে ৩ টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
তেল ব্যবসায়ীরা বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৬৫ শতাংশ পাম অয়েলের মাধ্যমে পূরণ হয়ে থাকে, যার পুরোটাই আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করা হয়। পাম অয়েলের ইনবন্ড ও আউটবন্ড মূল্য গতমাসে কিছুটা কমে যাওয়ায়, সেই অনুসারে পাম অয়েলের বাজারদর কমানো হয়েছে। চলমান করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবিত মূল্য কমিয়ে এই সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।