চাঁদপুরে পবিত্র রমজানকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কাঁচা আমে ফরমালিন ও রাসায়নিক কেমিক্যাল দিয়ে কাঁচা আমকে পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে।
এতে করে একদিকে যেমন পাকা আম মনে করে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। এসব অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের কারণে অপরিপক্ক পাকা আম কিনে চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে রোজাদার মানুষ।
চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি, পালবাজার, বাবুরহাট ওয়ারলেস সহ বিভিন্নস্থানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপরিপক্ক পাকা আমের বিক্রির বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাতক্ষীরা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই আম সংগ্রহ করে বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে আগাম বাজারে তুলছেন। ঢাকার পাইকারি বাজার থেকে এসব আম ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন জেলার খুচরা বাজারে।
প্রতি রমজানে স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। তার ওপর আমের প্রতি ক্রেতাদের আলাদা একটা আগ্রহ থাকে। তাই আমরাও ক্রেতার চাহিদার কথা চিন্তা করে বাজারে আম বিক্রি করছি। সুস্বাদু মনে করে এ রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আম পেয়ে চড়া দামেও কিনছেন ক্রেতারা।
খবর নিয়ে জানা গেছে আরো ১৫ /২০ দিন পর আম পাকতে শুরু করবে। কিন্তু চাঁদপুরের বিভিন্ন বাজার গুলোতে গত ২ সপ্তাহ ধরে ফলের দোকানে শোভা পাচ্ছে পাকা আম। রং ছটানো পাকা আম দেখে অনেকেই সত্যিকারের পাকা আম ভেবে তা ক্রয় করছেন।
ক্রেতাদের এই বাড়তি আগ্রহকে পুঁজি করে এসব আম ২,শ থেকে ৩,শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে ক্রেতারা বুঝতে পারেন আসলে সেগুলো পরিপক্কক পাকা আম নয়। অপরিপক্ক এই আম ক্ষতিকর রাসায়নিক কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়েছে। এসব আম কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।