ফেনীর সোনাগাজীতে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত বছরের ১০ রমজানে পাশের এলাকার আকাশকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। পালিয়ে বিয়ে করার একবছর পর ফিরলেন লাশ হয়ে।
৩০ এপ্রিল শুক্রবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ দাফন করা হয়। সীমা সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরগোপালগাঁও গ্রামের ইটালী প্রবাসী ইব্রাহীমের মেয়ে। তার স্বামী বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকাশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে পালিয়ে আকাশকে বিয়ে করেন সীমা। এরপর থেকে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আকাশের মোবাইল থেকে সীমার বাবাকে ফোন করে জানানো হয় তার মেয়ে আত্মহত্যা করে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় মারা গেছেন।
খবর পেয়ে সীমার বাবা ইব্রাহীম ওই বাসায় গিয়ে জানতে পারেন ভাটারা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছেন। পরে মর্গ থেকে মরদেহ এনে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
সীমার বাবা ইব্রাহীম বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঢাকার ভাটারা থানায় আকাশকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে স্থানীয় চরমজলিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ হোসেন জানান, বেশ কয়েকবছর যাবত আকাশ নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক কনসালটেন্ট দাবি করে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেয়ার নামে স্থানীয়দের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কয়েক দফায় সালিশে কয়েকজনের টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।’
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারী নিহতের ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’