চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নারায়ণপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক শিশুকে (১০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও পরে উভয় পক্ষের লোকজন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে আপসরফা করেন।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী মেয়েটির মা–বাবা ঢাকায় থাকেন। কয়েক দিন আগে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে ওই শিশু তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত রোববার সকাল ১০টায় শিশুটির নানার বাড়ির প্রতিবেশী মুমিন সরকারের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩২) জুস খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইসমাইল পালিয়ে যান। পরে নানির কাছে ঘটনাটি জানায় ওই শিশু।
খবর পেয়ে শিশুটির মা–বাবাও ঢাকা থেকে নারায়ণপুরে চলে আসেন। শিশুটির মা–বাবা স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজনকে বিষয়টি মীমাংসার অনুরোধ করলেও নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন তাঁরা। পরে গত সোমবার মামলা করার জন্য শিশুটির মা ও নানি মতলব দক্ষিণ থানায় আসেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি জানান। পরে মামলা না করেই তাঁরা বাড়ি ফিরে যান।
সূত্রটি আরও জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন শিশুটির নানার বাড়িতে এক সালিস বৈঠকে বসেন। সেখানে উভয় পক্ষের লোকজন টাকার বিনিময়ে ঘটনাটির আপসরফা করেন। অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন নিজের দোষ স্বীকার করলে তাঁর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভবিষ্যতে এ কাজের পুনরাবৃত্তি না করার মর্মে তাঁর কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামাও আদায় করা হয়।
শিশুর মা ও নানি বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। এ জন্য থানায় মামলা করেননি।
অভিযোগের ব্যাপারে ইসমাইল হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি এলাকায় নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে মামলা করার জন্য শিশুটির পরিবারের লোকজন তাঁর কাছে এসেছিলেন। পরে রহস্যজনক কারণে মামলা না করেই বাড়ি ফিরে যান তাঁরা। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে বলে লোক মারফত জেনেছেন।