চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নাসিরকোট এলাকায় ফসলি জমিতে সেচের পানি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহেল মোল্লা (২৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
২০ মার্চ শনিবার সকালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশ ইউনিয়নের নাসিরকোট, ব্রাহ্মণ গাঁও গ্রামের মোল্লাবাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতের কারণে তার ফুসফুস থেকে হাওয়া বের হয়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে এই অতর্কিত হামলার ঘটনায় একই পরিবারের আরো ৪ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আহতরা হলেন, ওই বাড়ির আবুল কালাম মোল্লা (৬৫), তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৫৫) ও ছেলে সোহেল মোল্লা (২৫), রব মোল্লার ছেলে মহসিন মোল্লা (৩৫)। তারা বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতরা জানান, একই বাড়ির রব মোল্লার সাথে হামলাকারী ইব্রাহিম মোল্লা গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমির বিরোধ চলে আসছিলো। তারই সূত্র ধরে তারা পরিকল্পিত ভাবে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে মহসিন মোল্লা তার সেচ মেশিন দিয়ে সোহেলের ইরি চাষকৃত ক্ষেতে পানি দেন। আর ওই সেচের পানি ইব্রাহিম মোল্লা গভীর রাতে তাদের অজান্ততে চুরি করে ক্ষেতের ড্রেন কেটে তার ক্ষেতে পানি নিয়ে যান।
পরদিন এ পানি চুরির বিষয় নিয়ে মহাসিন মোল্লা ও তার স্ত্রীর সাথে ইব্রাহিম মোল্লাদের অনেক ঝগড়াঝাটি হয়।
পরবর্তীতে শনিবার সকালে ইব্রাহিম মোল্লার স্ত্রী সবুরা বেগম তাদের ঘরের কাছে গিয়ে গায়ে পড়ে তাদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ইব্রাহিম মোল্লা ও তার ছেলে বিল্লাল মোল্লা, নোমান মোল্লা, জামালের স্ত্রী কুলসুমা বেগম এবং সবুরা বেগমসহ তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে বিল্লাল মোল্লা ছুরি দিয়ে সোহেল মোল্লার পেটে আঘাত করেন। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তার ডাক চিৎকারে অন্যরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তারা তাদের উপরও হামলা চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জথম করেন বলে তাদের অভিযোগ।
সেচের পানি চুরি করে আবার তাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী এই অসহায় পরিবারটি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম মোল্লার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বক্তব্য নিতে চাইলে তাদেরকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।