১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় সজীবের খণ্ড খণ্ড মরদেহ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে প্রেমিকা শাহনাজকে।
প্রতিবেশীরা বলছেন, ৫ থেকে ৬ বছর ধরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের ৬ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় বাস করে আসছিলেন ৫০ বছর বয়সী শাহনাজ ও বাসের টিকিট কাউন্টারের কর্মী ৩২ বছরের সজীব। এদিকে স্ত্রী নিখোঁজ থাকায় মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ওয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আটককৃত শাহনাজের আসল স্বামী।
বৃহস্পতিবার সকালে শাহনাজ তার আগের স্বামীকে ফোন দিয়ে বলেন তিনি বিপদে আছেন। এ ফোন পেয়ে স্বামী পুলিশ নিয়ে হাজির হন ওই বাসায়। এ সময় দেখতে পান সজীবের ৫ খণ্ড মরদেহের পাশে বসে আছে তার স্ত্রী শাহনাজ।
প্রতিবেশীরা জানান, শাহনাজের সঙ্গে পরকীয়া থাকাকালীন তার মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পরকীয়া প্রেমিক সজীব। এ কারণেই হয়তো তাকে হত্যা করা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহনাজ হত্যা করে সজীবকে। নিহত সজীবের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু এলাকায়।