চলতি মাসে আরও একটি মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. সামছুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাসে জানুয়ারি মাসের আবহাওয়ার অবস্থাও বর্ণনা করা হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম (৯৭.৭%) বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা ও পূবালী লঘুচাপের প্রভাব না থাকায় সকল বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ১-৩, ১৩-১৮ জানুয়ারি সময়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ এবং ২৮-৩১ জানুয়ারি সময়ে কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৫ সেলসিয়াসে নেমে আসে রাজারহাটে।
আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণ করে ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চলতি মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে এক-দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরণেনের শৈত্যপ্রবাহ (০৬-১০ সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে দেশের নদ-নদীর অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা আছে।
এছাড়া মাসের শেষার্ধে দেশের কোথাও কোথাও এক-দুই দিন শিলাবৃষ্টি ও বিজলি চমকানো সহ বজ্রঝড় হতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
কৃষি আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, দেশের দৈনিক গড় বাষ্পীভবন ২ দশমিক ৭৫ থেকে ৩ দশমিক ৭৫ মিলিমিটার এবং গড় সূর্য কিরণকাল হবে ৫-৬ ঘণ্টা।