ফরিদগঞ্জ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে এলাকাতে তোলপাড় চলছে। স্থানীদের দাবি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামে নির্মমভাবে হামলার শিকার হন গাজী বাড়ির লোক জন। এই সময় দেশীয় অস্ত্রসহ প্রায় ২০/২৫জন লোক সন্ধায় বাড়িতে এসে ঘর বাড়ি ভাঙচুর চালায়। পরে বাড়ির লোক জনের ডাক চিৎকারে শুনে আসে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে, হামলা কারিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এসময় হাজেরা বেগমের ঘর ভাঙচুর করে এবং জুলেখা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা হামলার শিকার হন জানান স্থানী লোকজন। হামলার ঘটনা শোনে সোমবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেন।
২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধায় ভুক্তভোগীরা পক্ষে সাইফুল ইসলাম গাজী ৭জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ কারীরা হলেন, মোশারফ ভূঁইয়া (৫০), মঞ্জু ভূঁইয়া (৩৫), সিয়াম (২২), জহির ভূঁইয়া (৩৫), রিফাত হোসেন (১৯), নজির ভূঁইয়া (৫৫) ও মহিন পাটওয়ারী (১৯)।
ভুক্তভোগী হাজেরা বেগম বলেন, পাওনা টাকা কে কেন্দ্র করে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোশারফ ভূঁইয়াসহ ২০/২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। হামলায় আমাদের ২লক্ষ টাকার মত ক্ষতি সাধিত হয়।
অভিযুক্ত মোশারফ ভূঁইয়া বলেন, আমার ছেলের সাথে তাদের টাকার লেনদেন ছিল। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ঘটনাটি ঘটেছে। আমার মেয়ে অসুস্থ থাকার কারনে আমি মেয়ের বাড়িতে ছিলাম।
এবিষয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।