ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে পৌর নির্বাচনের সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীগণ লিফলেট বিতরণসহ পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় রঙিন ও সাদা-কালো পোস্টার সাঁটিয়ে দোয়া-সমর্থন চেয়ে নিজের প্রার্থীতা জানান দিয়েছেন।
এর আগে, নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে অংশ গ্রহণে ইচ্ছুক প্রার্থীদের অনেকেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াঁজ, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান, পানির ট্যাঙ্ক বিতরণ করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে দল বেধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময় এবং খোঁজ-খবর নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারণা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মোবাইলে।
এদিকে, তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকায় বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে পৌর এলাকার বিভিন্ন মোড়ের চায়ের স্টল, মুদি দোকানসহ বিভিন আড্ডাস্থলে।
আলোচনায় পিছিয়ে নেই পরিবারের লোকজনও।
ওই সব আলোচনায় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের চাইতে প্রাধান্য পাচ্ছে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে।
বর্তমানে পৌরসভা জুড়ে মুলতঃ আলোচনা একটাই, ‘ফরিদগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বড় দুই দল থেকে কে কে হচ্ছেন মেয়র প্রার্থী? ’তাছাড়া আলোচনা হচ্ছে, সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের মাঝে কে কেমন? কার জনপ্রিয়তা বেশী? কাকে মনোনয়ন দিলে ভাল হবে? কাকে দেওয়া উচিত? কার মনোনয়ন জয়ের সম্ভাবনা বেশী? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
তবে, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাকিয়ে আছেন ঢাকার দিকে। অধীর আগ্রহে তারা অপেক্ষায় আছেন কেন্দ্রীয় ঘোষণার জন্য। অনেকেই আবার কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে লবিং করছেন। নিজের অবস্থান তুলে ধরে তাদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন দলীয় মনোনয়নের জন্যে।
এদিকে, স্থানীয়ভাবে দলীয় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় আছেন- পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মো. মাহফুজুল হক, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সহ-সভাপতি লোকমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মশিউর রহমান মিটু, পৌর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন মিয়াজি, পৌর আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাউন্সিলর মজিবুর রহমান, পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন মিয়াজি, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী সফিকুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাছান সাউদ, সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন মনির, পৌর সভার প্যানেল মেয়র খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সদস্য, আব্দুল গাফ্ফার সজিব, পৌর আ’লীগের সদস্য এনামুল হক রাসেল, পৌর যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মাকছুদুল বাসার বাঁধন, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট নাজমুন নাহার অনি, পৌর মহিলাআ’লীগের সভাপতি আজমুর বেগম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী সেলিনা আক্তার শেলি।
বিএনপি থেকে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহ- সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মফু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও গেল পৌরসভা নিবার্চনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত হোসেন গাজী, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল মতিন, পৌর যুুবদলের আহবায়ক মো. ইমাম হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক নাজিম উদ্দীন পাটওয়ারী, বিএনপি নেতা এ এম টুটুল পাটওয়ারী।
এ বিষয়ে আ’লীগ ও বিএনপি সমর্থকরা জানান, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে দলের নীতিনির্ধারকরা সৎ, শিক্ষিত, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে বলে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তারা।
তারা আরও বলেন, আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী পৌরসভা গঠনে যারা এগিয়ে আসবে তাদেরকেই আমরা পৌর পিতা হিসেবে জয় যুক্ত করবো।