রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রীর চার বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলেছে, স্কুলছাত্রীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আটক চারজনের মধ্যে এ লেভেল পরীক্ষা দেওয়া এক তরুণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন রাজধানীর নামকরা একটি ইংলিশ মাধ্যম স্কুলে পড়ত।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে নিহত ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে আনুশকাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। আনুশকা সকালে নিজেই তার মাকে জানায়, পড়াশোনার প্রয়োজনে তাকে বাইরে যেতে হবে। পরে বন্ধু দিহান নিজেই আনুশকার মাকে ফোন করে জানায়, আনুশকা অসুস্থ। এরপর আবার দিহান ফোন করে জানায়, আনুশকা মারা গেছে।
সেখানকার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিবার জানায়, আনুশকাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তার মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষণের ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা দায়ের করতে ইতোমধ্যে কলাবাগান থানায় গিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এদিকে, কলবাগানের ডলফিন গলির ওই বাসা থেকে নানা আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইহসানুল ফিরদাউস বলেন, এই ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ওই দিহানসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করেছে। হয়তো বাধা দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।