দেশের বিভিন্ন এলাকায় রাতে ধর্মীয় সভা-সমাবেশ/মাহফিলে লাউড স্পিকার ব্যবহারের ফলে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। জনদুর্ভোগ কমাতে মাহফিলে জোরে মাইক না বাজানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ধর্মীয় সভায় মাইক ব্যবহারে জনদুর্ভোগ কমাতে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে মাইকে লাউড স্পিকার ব্যবহারে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় আজ বুধবার জানায় বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা উঠলে এর সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, ‘শুধু ওয়াজের কথা বললে মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরি হবে। অন্যান্য ধর্মের অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠানেও জোরে মাইক ব্যবহার করা হয়। তাতেও মানুষের দুর্ভোগ হয়।’
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাকালীন সময়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সভা সমিতিতে মাইকে লাউড স্পিকার ব্যবহারে যে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা লাঘবে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে সমন্বয় করার সুপারিশ করা হয়।’ বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় মসজিদ ও মন্দিরে বিতরণের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কি সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জিন্নাতুল বাকিয়া ও তাহমিনা বেগম।