কথায় আছে আপেল খেলে চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে না। কারণ আপেল ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও আয়রনে ভরপুর আপেল। যে কোনো বয়সে আপেল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। তবে আপেল নিয়ে বিভিন্ন ধারণা আছে। বাজারে আপেল দুরকমের পাওয়া যায়। সবুজ ও লাল। অনেকে মনে করেন, আলাদা শুধু দেখতে। কিন্তু না দুই আপেলের অনেক কিছুই আলাদা।
স্বাদে আলাদা সবুজ আপেল বা গ্রিন অ্যাপেলের খোসা মোটা হয়, টক স্বাদের হয়। তাই এটা খেতে লাল আপেলের থেকে আলাদা। অন্যদিকে, লাল আপেল বিভিন্ন ধরনের হয়, এর খোসা পাতলা ও এটি বেশ রসালো। পাশাপাশি লাল আপেল স্বাদেও মিষ্টি হয়। কেউ যদি মিষ্টি না খেতে চান, তা হলে সবুজ আপেল তার জন্য উপকারী।
পুষ্টিগুণ-দুই আপেলের পুষ্টিগুণ মোটামুটি এক। ভিটামিন, মিনারেল, কোয়েকসেটিন, ফ্লেভনয়েডসে ভরপুর। দুই আপেল ক্রনিক হার্ট ডিজিস রোধ করে, লিভার ডিজিস থেকে বাঁচায়। ক্যালোরি থাকে না, তাই ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সবুজ আপেল ভিটামিন A, ভিটামিন B, ভিটামিন C, ভিটামিন E ও ভিটামিন K-এর অন্যতম উৎস। লাল আপেলের থেকে বেশি আয়রন থাকে এই আপেলে। পটাসিয়াম থাকে, প্রোটিনও বেশি পরিমাণে থাকে। কেউ সুগার লেভেল কমাতে যদি আপেল খান, তাহলে লাল আপেলের থেকে সবুজ আপেল খাওয়া ভালো।
অন্যদিকে লাল আপেলে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকে। যাদের ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস প্রয়োজন, তারা লাল আপেল খেতে পারেন।
পুষ্টিগুণ খতিয়ে দেখতে গেলে লাল আপেলের থেকে সবুজ আপেল একটু এগিয়ে। কিন্তু বাকি সব ক্ষেত্রে এক। দুই আপেলের মধ্যে যে কোনো একটা খেলে তা শরীর ভালো রাখবে। যদি ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস অ্যাড করতে হয়, তাহলে লাল আপেল খাওয়া ভালো। তবে সবচেয়ে ভালো হতে পারে, যদি দুই আপেল খাওয়া যায়। সূত্র: নিউজ এইটিন