হাজীগঞ্জ সংবাদদাতা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়ায় দুর্গা পূজা মন্ডপে হামলার ঘটনায় পুলিশের সাথে হামলাকারির সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
কুমিল্লায় একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার অভিযোগের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ নিয়ে বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন খবর ছড়িয়ে পড়ায় হাজীগঞ্জে উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় কিছু কম বয়সি উশৃঙ্খল যুব একটি মিছিল হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে পূর্ব বাজার ঘুরে আবার পশ্চিম বাজারে গিয়ে হিন্দুদের দুর্গা পূজার স্থান লক্ষী নারায়ণ জিউর আখড়ার সামনে গিয়ে পূজা মন্ডপে আক্রমন শুরু করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে তারাও তোপের মুখে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে ৩ জন নিহত হয় । নিহতরা হলেন উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের আলামিন(১৮),চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার বাবলু ও রান্ধুনীমুড়া সেকান্দার আলী বেপারী বাড়ীর ফজলুল হকের একমাত্র ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৫)। শতাধিক আহত হয়। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ বাজারে উত্তাপ্ত বিরাজ করছে। পুরোবাজারে পুলিশ মোতায়ন করা হয়ছে।
হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ জানান সন্ধার পর কিছু লোক মিছিল নিয়ে বের হয়। আমরা তাদেরকে বাধা দিলে তা বাধা না শুনে পশ্চিম বাজার আখড়ায় পূজামন্ডপে হামালা শুরু করে বৃষ্টির মতো। এতে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি। এতে কয়েকজন আহত হয়। কেউ মারা গেছেকিনা তা জানা নেই।
হিন্দুসম্প্রদায়ের কয়েজন নেতারা জানান আমরা প্রতিদিনের মতো পূজা উদযাপন করছি। হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো ইট পাটকে আমাদের মন্দিরের উপরে পড়তে থাকে। বাহিরে এসে দেখি কিছু উশঙ্খল যুবকরা আক্রমন শুরু করে। এতে সকল দুর্গার মুর্তি গুলো ভেঙ্গে পেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠ করেও আমাদের পূজার মুর্জিগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।