হাজীগঞ্জের সরকারি খাস জমি দখল করে পাকাঘর নির্মাণ
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ড আলীগঞ্জের কংগাইশ গ্রামে আলীগঞ্জ হাই স্কুল সংলগ্ন রাস্তার পাশে সরকারি খাস জমি (হালট) দখল করে পাকাঘর নির্মান করছেন স্থানীয় জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এতে করে স্থানীয় ও এলাকাবাসী ক্ষোভ জানান। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার।
জানা গেছে, ওই গ্রামের পাল-পুকুর বাড়ির মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. জামাল হোসেন সাবেক ২৪০নং হাল ৭৯নং কংগাইশ মৌজার আলীগঞ্জ হাই স্কুল সংলগ্ন সাবেক ৭২২ দাগ হালে ১১১৭ দাগে কিছু সরকারি খাস ভূমি দখল করে জোরপূর্বক পাকাঘর নির্মাণ করছেন। ওই দাগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আলীগঞ্জ হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন।
প্রায় দুই মাস পূর্বে স্থানীয় জামাল হোসেন স্কুলের রাস্তা সংলগ্ন কিছু সরকারি খাস জমি দখল করে পাকা ভিটি ও টিনের চালা দিয়ে ঘর নির্মাণ করেন (যা এখনো চলমান রয়েছে)। এতে স্কুলের শিক্ষার্থী ও কৃষকদের চলাচলে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। তাই খাস ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে বলা হলেও তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং হুমকি-ধমকি প্রদান করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার ফলে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছেন, পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর। তাই তিনি বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যার অনুলিপি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দিয়েছেন।
এ দিকে হুমকি-ধমকির অভিযোগ অস্বীকার করে জামাল হোসেন বলেন, নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি সংলগ্ন সরকারি ২.২০ শতাংশ ভূমি ব্যবহারের সুবিধার্থে আমার দখলে রয়েছে। এ ছাড়াও এলাকার অনেকে এই সরকারি হালট (ভূমি) দখল করে স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্নভাবে দখল করে আছে। সবার যে গতি, আমারও সেই গতি। অর্থ্যাৎ সরকার যখন চাইবে, সবার সাথে আমি আমার দখল ছেড়ে দিবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বলা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা জানান, বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন ও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাজীগঞ্জ পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।