এক বিধবার দেশীয় ফলজ ও বনজ প্রজাতির প্রায় ৩০টি গাছ কর্তন করে শত্রুতা উদ্ধারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৯৯৯ ফোন করে বিধবা ও তার মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আর এমন ঘটনাটি ঘটেছে মতলব দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং উপাধী দক্ষিণ ইউনিয়নের করবন্দ হাজী বাড়িতে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, করবন্দ হাজী বাড়ীর মৃত ইউসুফ আলীর বিধবা স্ত্রী মাজুদা বেগমের এওয়াজ বদল দলিলের আধা শতাংশ নিজ ভূমির উপর দেশীয় প্রজাতির প্রায় ৩০টি ছোট বড় গাছ ছিল।
গত ৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার একই বাড়ীর আবুল বাসার তার ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী মনির হোসেন মিন্টু, বড় ছেলে মানিক হোসেনসহ প্রায় ১৫/২০ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে বিধবার ফলজ ও বনজ প্রজাতির প্রায় ৩০ টি গাছ মহুর্তে কর্তন করে।
এ সময় বাধাঁ দিলে বিধবা মাজুদা বেগম ও তার মেয়ে রুবি আক্তারকে মারধর করে এবং তাদের বসত ঘরের বিদ্যুৎতের মিটার তছনছ করে। বিধবার মেয়ে কলেজ ছাত্রী রুবি আক্তার ৯৯৯ ফোন করলে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
উপাধি ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আ.হাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, বিধবা মাজুদার এওয়াজ বদল দলিলে .১৪২৫ শতাংশ নিজ ভূমির উপর দেশীয় প্রজাতির প্রায় ৩০টি ছোট বড় গাছ ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন এখানে জোরপূর্বক দোকান ঘর নির্মাণের লক্ষে গাছগুলো কর্তন করেছে।
বিধবা মাজুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই প্রায় ২৫ বছর হবে। সন্তানদের মূখের দিকে তাকিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে পাশ্ববর্তী আবুল বাসার তার ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামী মনির হোসেন মিন্টুর অত্যাচারে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের এতোগুলো গাছ কর্তন করে থেমে থাকেনি।
ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমাদেরকে মারধর করেছে। তদন্তপূর্বক প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ট বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে আবুল বাসার জানান, তাদের সাথে আমাদের পূর্বের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। গাছগুলো আমার লাগানো ছিল, তাই আমরা কেটেছি।