—- সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন
২৬ মার্চ ২০১৫, ৪৫ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। যে দিনটির জন্য বাঙালী জাতিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বৎসর লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। ভাষার জন্য, মানবিক অধিকারের জন্য, ন্যায় সঙ্গত আচরণের জন্য, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা বাসস্থানের জন্য কথা বলতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কথায় কথায় গুলি, জেল-জলুমু অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্মমতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে তার জীবনের ১৩টি বছর করাগারে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। স্কুলে অধ্যয়নকালেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনচেতা ছিলেন ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি স্কুলে ধর্মঘট আহ্বান করেছিলেন। ছোট বেলা থেকেই পরোপকারী, মহানুভব, সাহসী, বিনয়ী, সৎ চরিত্রের অধিকারী, দায়িত্বশীল, ধর্মানুরাগী বাবা মায়ের পরম স্নেহের খোকা ধীরে ধীরে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদরদের বিরুদ্ধে বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেরিয়েছেন। ১৯৪৯ সালের ২৪ জুন বন্দি অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী মুসলিম লীগের এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি খাজা নাজিম উদ্দিন উর্দ্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার অন্যায় ইচ্ছা প্রকাশ করলে কারাগারে বন্দী মুজিব ইহার প্রতিবাদ করার জন্য ছাত্রদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন। ১৯৫৩ সালের ৯ জানুয়ারিতে আওয়ামী মুসলীমলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৫৫ সালের ২৯ মে চাঁদপুরের জনসভায় মুজিব বলেন, আওয়ামী মুসলিম লীগ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সমান আচরন করবে। প্রয়োজনে সংগঠনের নামও বদলাতে পরি। (সূত্র শেখ মুজিব ও স্বাধীনতা)। ১৯৬৮ সালের ১লা জানুয়ারি জেনারেল আইয়ুব খানা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করেন ১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আওয়ামীলীগ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন গণ আন্দোলনের রুপ লাভ করে। ২৩ শে ফেব্র“য়ারি রেসকোর্স মাঠে গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুজিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতা। ১৯৭০ সালের ১ লা জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৭ জুন রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু ৬ দফার ভিত্তিতে আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করার জন্য জনগণের প্রতি আবেদন করেন। ১৭ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু নৌকা মার্কাকে দলীয় প্রতীক হিসাবে নির্ধারন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় সরকার গঠনের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করেন। কিন্তু সামরিক চক্র জাতীয় সংসদের অধিবেশন না ডাকায় ২রা মার্চ ১৯৭১ এ মুজিব হরতাল ডাকেন এবং ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে পরবর্তী নির্দেশ দিবেন বলে ঘোষণা করেন। ৩রা মার্চ অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা করেন। বাংলার মানুষ অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ দিন বাংলার ছাত্র যুব সমাজ বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলার সর্বাধিনকায় মনোনীত করে এবং স্বাধ”ীন বাংলার পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে পল্টনের জনভায় ইস্তেহার পাঠ করা হয়। এল বাংলার সেই মহানায়কের প্রতিশ্র“ত মহান ৭ই মার্চ। এ দিন ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে সমবেত লক্ষ লক্ষ বাঙালী জনতাকে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির উপর বর্বর পাকিস্তানী শাসন শোষণ অত্যাচার, নির্যাতনের দীর্ঘ বিবরণ শেষে অতি সুকৌশলে জাতিকে জানিয়ে দিলেন ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, তবু এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।” ২৩ মার্চ সকালে উত্তাল জনতার দাবীতে ৩২নং রোডের ধানমন্ডিস্থ বঙ্গন্ধুর বাসভবনে উত্তোলিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের হলুদ বর্ণ সম্বলিত মানচিত্রের লাল সবুজের পাতাক্ ২৫ মার্চ’৭১ এর রাত ১২ টাকার আগে হানাদার পাকিস্তান সামরিক জান্তা ঢাকাস্থ পিলখানার ইপি আর হেড কোয়াটার এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমন চালিয়ে বাংলায় নিরস্ত্র বাঙালীর উপর গণহত্যা শুরু করে এবং ঢাকা শহরে আগুন নিয়ে পোড়াতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে রাত ১২ টার পর (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) বাংলার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বন্দী হওয়ার আগ মুহুর্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আহমদ চৌধুরী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার লিখিত বানী ওয়্যারলেসে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই স্বাধীনতা ঘোষনার মুদ্রিত হ্যান্ডবিল ২৬শে মার্চ’৭১ দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রামবাসীর হস্তগত হয়েছিল। হ্যান্ডবিলটি ছিল ইংরেজিতে। পাক সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে পাকিস্তানের শাহীওয়াল কারাগারে নিয়ে যান এবং কারাগারের সেলের পাশেই তার জন্য কবর খনন করেন। তখন জাতির জনক বলেছিলেন, ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে বলবো আমি বাঙালী, বাংলা আমার ভাষা, বাংলা আমার দেশ তিনি কারারক্ষীদের বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর তোমরা আমার মৃতদেহ বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আজীবন অন্যায়ের সাথে মাথানত না করে বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রাম করে আমাদেরকে একটি মুক্ত স্বাধীনত দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, পেশাজীবি, কর্মজীবি, বুদ্ধিজীবিসহ সামরিক বাহিনী, ইপিআর পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত লক্ষ লক্ষ বাঙালী পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বাঙালী হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। বাংলার মুক্তি পাগল জনতা সে দিন ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকলে কাঁধে কাধ মিলিয়ে বাংলা মাকে মুক্ত করার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। কত মায়ের সন্তান সেদিন প্রিয় মায়ের কাছে বুকে যাওয়ার কথা বলে যেতে পারেনি কারন মা জননি যদি যুদ্ধে যেতে বারন করেন। আবার অনেক মা তার একমাত্র সন্তানকে হাসিমুখে যুদ্ধে পাঠিয়েছে। পাকিস্তানী হায়েনাদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য। মায়ের লাখো সন্তান মায়ের কোলে ফিরে আসেনি। তারা বাংলার মুক্তি পাগল বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। মাগো তুমি কেদো না, মা চেয়ে দেখো তোমার ছেলের আত্মত্যাগে, তোমার মেয়ের ইজ্জত বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূর্ব দিগন্তে স্বাধীনতার লাল সূর্য উদিত হয়েছে। যে সূর্য উদয়ের অপেক্ষায় বাঙালী জাতিকে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে ২৩ বছর লড়াই, সংগ্রাম করে জীবন দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩.০ লকষ শহীদ ও দুই লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে জাতির গর্বিত সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ অর্জন করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে জয় বাংলা শ্লোগান আর মুক্তিবাহিনী এই কথা শুনলেই রাজাকার, আলবদর, আল শামস্ ও পাকিস্তানী বাহিনী আতঙ্গগ্রস্ত হয়ে পড়তো। আজ স্বাধীনতা দিবসের এই লেখনীর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল শামস্, পাকিস্তানী হায়নাদের কারা নির্যাতিত মা বোন বীরঙ্গানাদের কৃতজ্ঞ চিত্তে অবনতভাবে স্মরণ করি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর সেনানী শহীদ বুদ্ধিজীবিদের। এখন মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামীলীগ সভা নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কাঙ্খিত সাফল্যের দিকে এগোচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল সকল মানুষকে জননেত্রী দেশরত্ম শেশখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। ছোট বেলায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সদস্য ছিলাম। অন্যান্য বন্ধুরা সহ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়ার জন্য ফুলের তোড়া বানাতে হবে, ফুল সংগ্রহ করা, পাতা বাহার গাছ, মুলি বাঁশ সংগ্রহ। এ সব দিয়ে সুন্দর করে তোড়া বানানো কত আনন্দ, স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ২১ বার তোপধ্বনি এর পর মিছিল যে মিছিল মিলিত হতো ছাত্রলীগের মিছিলে। ২৬শে মার্চ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়ানুষ্ঠান, কবিতা পাঠের আসর কত অনুষ্ঠান। যে সব অনুষ্ঠানে ছোট বেলায় আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কাজ করতো। আমরা সে দিন পেয়েছিলাম প্রয়াত এমপি আব্দুর রব মিয়া, আবু জাফর মাইনুদ্দিন, কোরবান আলী, আহাম্মদ মিয়া, আবদুল আউয়াল মিয়া, আলী আজজ্ম মজুমদার, সিরাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, হোসেন আহাম্মদ পাটওয়ারী, হোসেন ইমাম হায়দার, আবুল খায়ের চেয়ারম্যান, আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, শাহজাহাদা ভাই, সিরাজ ভাই, সুফি ভাই, হাশেম পাটওয়ারী, মো: মোস্তফা কামাল, আবদুল মালেক, বাবুল, চঞ্চল, আলম, মিজানুর রহমান স্বপন, লেদা ভাই, তপন, আবু,আলম, অনুপ, মিন্টু, হাফেজ, লিটন, জাহাঙ্গীর সহ আমাদেরকে ফেলে অকালে চলে যাওয়া আরো অনেক নেতা কর্মীকে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সৎ ও সাহসী ভাবে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের জন্য কাজ করে গেছেন। শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছিল হাজীগঞ্জ থানা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, আওয়ামীলীগ। আজকের হাজীগঞ্জে ছাত্রলীগের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনে স্কুল, কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ তেমন একটা নেই। স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় সংগঠন আছে কিনা তার সদুত্তর কেউ দিতে পারে না। আওয়ামীলীগ, যুবলীগে ধারাবাহিকতা নেই, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচছাসেবকলীগের কর্মকান্ড তেমন একটা চোখে পড়ে না। আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা সম্মেলন এবং ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা নির্বাচনের পূর্বে কিছুটা জাক জমক ভাবে স্বাধীনতা দিবস সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান করার জন্য শাখা কমিটির নেতারা কিছু সহায়তা পেয়ে থাকেন। যেভাবে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, পোস্টারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে নিজের ছবি দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালানো হয় সেভাবে কম সংখ্যক ব্যক্তিকেই সাধারণ কর্মীদের পাশে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ কিছু কিছু নেতা কর্মীর বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট যৌথ কিছু কর্মকান্ড ইতিমধ্যে জনমনে আওয়ামীলীগ কে বিতর্কিত করে তুলেছে। এদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হলে যে কোন নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামীলীগকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। এরা বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয়ে অপমান অপদস্থসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আসুন ৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গীকার হউক, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, গাড়ি ভাংচুর, পেট্টোল বোমা, ককটেল হামলা, ইভটিজিং সহ সকল দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর হাজীগঞ্জ গড়ে তুলি।