হাজীগঞ্জ একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মেয়েদের মাঝখানে পুরুষ প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমের শিকার দুই যুবক।
গত ৩১শে মার্চ হাজিগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের মোল্লাডহর গ্রামের আখন বাড়ির সম্মুখে রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় যে, নোয়া বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে সাখাওয়াত এর গায়ে হলুদ চলছিল। অনুষ্ঠানে অন্য গ্রামের কয়েক যুবকদের নিয়ে রাহিম আলীর ছেলে রাব্বি মহিলাদের শারিতে প্রবেশ করলে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় রিয়াদ ও ফারুক, এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বির বাবা রাহিম আলী সন্তানের পক্ষ নিয়ে হাতে থাকা কালো তচলাইট দিয়ে আঘাত করে রিয়াদকে, ব্যাপারটি জানতে চেয়ে রিয়াদের মামা আলমগীর ও জাহাঙ্গীর এর সাথে কথা কাটাকাটি হয় রাহিম আলীর সাথে।
পরে বিষয়টি রূপ নেয় অন্যদিকে, ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মজিবুর রহমানকে জানানো হলে তিনি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন, এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করন। ঠিক ওই মুহূর্তে কয়েক গজ দূরে হঠাৎ আচমকা হামলা চালায় রহিম আলী ও তার লোকজন ওই হামলায় জাবেদ উল্লাহ সর্দারের কনিষ্ঠ ছেলে আলমগীর আর নাতি ফারুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সবাই।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহত পরিবারের দাবি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
এছাড়া আহত আলমগীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা জন্য ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন মোল্লাডহর গ্রামে এমন একটি ঘটনায় এতো মারাত্মক আকার ধারণ করবে তা কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। বিশেষ করে রাহিম আলী ও তার ছেলে সহ অন্য যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করা হলে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হবে না বলে তারা জানান। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি, তবে অফিসার ইনচার্জ মহোদয় কে ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।