হাজীগঞ্জে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে সড়কের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ প্রশাসনের চেকপোস্ট জোরদার করা হয়েছে।
ভোর থেকে দেখা গেছে, চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কসহ হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে জোরদার করেছে। সেই সাথে চলছে তল্লাশি। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ ছাড়া কাউকে রাস্তায় চলতে দেয়া হচ্ছেনা। ব্যক্তিগত গাড়ী রাস্তায় নেই বললেই চলে।
যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তায় বেরিকেড বসিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার যানবাহন ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলতে পারছেনা।
এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি।
কিন্তু ২য় এ সর্বাত্মক লকডাউন এর প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের ব্যাপক পরিশ্রমে প্রথম দিনের লকডাউন পালিত হয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদের সাথে কথা হয় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বিশ্বরোড চৌরাস্তা। তিনি সেখানে তার ফোর্স নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কোন যানবাহন আসলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি জানান, কঠোরভাবে লকডাউন পালনা করা হচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে হবে, আমরা নিজেরাও বাঁচতে হবে। সেই লক্ষে পুলিশ প্রশাসন লকডাউন পালনে কঠোরতা অবলম্বন করছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি সার্কেল) হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সোহেল মাহমুদ জানান, পুলিশ লকডাউন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন ভাবেই রাস্তায় বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া যাবেনা। ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।