হাজীগঞ্জে বাসা-বাড়ী-ছাত্রাবাসে বহিরাগতদের বসবাস
স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতংক ॥ চলাফেরা সন্দেহজনক॥ বুঝামুশকিল ঠিকানা কোথায়॥ যে কোন সময় হামলা হতে পারে
নজরদারিতে রাখা হয়েছে॥ যে কোন সময় অভিযান-বলেন ওসি জাবেদুল ইসলাম
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
রাজনৈতিক শান্তিশৃঙ্খলা, সহিংসতাবিহীন, বসবাসযাগ্য, বানিজ্যিক শহর এবং সামাজিক পরিবেশ হলো হাজীগঞ্জ। আর এ সুযোগে গত দশবছরে হাজীগঞ্জে স্থায়ী বসবাসের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অচেনা বহু মানুষ বাসা বাড়ী নির্মাণ করেছেন। প্রথমে এ অচেনা মানুষগুলো রাজনৈতিক আশ্রয় হিসাবে সরকার দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন ভাবে সরকার দলীয় নেতাদের অতœীয়র পরিচল দিতে শুরু করেন। শুরু করেন প্রকাশ্য হাটা চলা। স্থানীয়রা সন্ধেহ হলে পরিচয় দেন আমি এই নেতার সেই নেতার অতœীয়। এভাবে ধীরে ধীরে নিজের বাসস্থান ও কর্মকস্থল ঠিক করেন কৌশলে। গত ১০ বছরে হাজীগঞ্জে প্রায় ৩০ শতাংশ বহিরাগত মানুষ হাজীগঞ্জে বসবাস করতে দেখা গেছে।
অনুসন্ধান করে দেখা গেছে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত মতা থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগের দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে হত্যাসহ বাড়াী ছাড়া করা হয়েছে চাঁদপুর, লীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লাজেলার বিভিন্ন উপজেলা মতাশীনরা। তখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বাড়ী ছাড়া হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামীলী মতায় আসার পর উল্লেখিত জেলার বিএনপির-জামায়াতের নেতাকর্মীরা নিরিবিলি ও শান্তির জায়গা হিসাবে হাজীগঞ্জের দিকে চুকতে থাকে। এক পর্যায় হাজীগঞ্জে হয়ে যায় তাদের জন্য বসবাসযোগ্য নিরিবিলি বাসস্থান ও কর্মস্থল। ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর বিএনপি জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী কৌশলে এইলীগ,সেইলীগ ব্যবহার করে সরকার দলীয় নেতাকদের সাথে মিশে গিয়ে সব েেত্র আধিপাত্যবিস্তার করতে শুরু করে। এতে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা কোন ঠাসা হয়ে পড়ে। এমনকি প্রশাসনের টেবিলে গিয়ে আমি এইলীগ- আমি সেই লীগরে নেতা বলে পরিচয় দেয়।
সম্প্রতি সরাদেশে সরকার উৎখাতের জন্য একটি চক্র বা ইসলামের নামে সরকার দলীয় নেতাকর্মী বা দেশের বিশিষ্টজনকে হত্যাসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে এই চক্রটি। সরকারের সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি ইসলামে নামে মানুষ খুক করা শুরু করে। এমনটি দেশের বিশিষ্ট জনদের ছেলে মেয়েদেরকে এবং পরিচয়বিহীন মানুষদেরকে পরকালে কথা জিহাদ নামে মানুষ খুন করার জ্ঞান দিতে থাকে। যা এদেশের জন্য এখন হুমকি। ইতি মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জিহাদ নাসে জঙ্গীদের ধরার জন্য প্রশাসন হাটলাইলে গেলে জঙ্গীরা আতœঘাতি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যা গত একমাসের ঘটনা অনুধাবন করলে আমরা বুঝতে পারি।
গত ৬ মাস আগে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার শহর গুলোতে বাসাবাড়ী ও ছাত্রবাসে অবস্থারত সকলের জন্ম সনদ ও পরিচয়পত্রসহ একটি ফরম পুরুন করতে হবে। ঐ সময় স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার কাউন্সলরা স্ব-স্ব বাসায় গিয়ে এ ফরম দিয়ে আসলে বাসার মালিকরা বাড়ীটিয়ার কাছে দিলে বাড়াটিয়ারা এক সপ্তার মধ্যে বাড়ী ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আবার কেউ বেড়ানোর নাম বলে আর বাসায় আসেনি। খালি হয়ে যায় হাজীগঞ্জের বহু বাসা-বাড়ী। তখন আলোচনায় আসে বহিরাগতরা হাজীগঞ্জের জন্য হুমকি এবং আতংক। এরা যে কোন সময় যে কোন দুঘটনা ঘটিনোর পরিকল্পা ছিল। হাজীগঞ্জের স্থানীয়দের মধ্যে ছিল শান্তির আবহাওয়া। গত এক মাস প্রশাসনের ভূমিকা নিরব থাকার পর আবারো হাজীগঞ্জ বহিরাগতদের আনাগোনা বেশি ল করা গেছে। জঙ্গি আতংক খবর চারদিকে ছড়ি পড়লে সাধারণ মানুষের মশ্যে প্রশ্ন উঠে তাহলে হাজীগঞ্জেও জঙ্গী থাকতে পারে।
স্থানীয় বহুমানুষ এ প্রতিনিধিকে বলেন কয়েক মাস প্রশাসনের প থেকে বাসা বাড়ী বাসবাসরত ব্যক্তিদের তথ্য নেয়ার কারণে বহিরাগতরা পালিয়ে যায়। তখন আমাদের মধ্যে প্রশ্ন ছিল এরা কারা। ঠিকানা সঠিক থাকলে বা পরিচয় সঠিক থাকলে পালিয়ে যাবে কেন?। কিন্তু এ একমাস আবারো বহিরাগতরা হাজীগঞ্জে বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে অবস্থান শুরু করেছে। তারা দু মাস পর পর বাসা পাল্টায়। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলে যায়। আমাদের সন্ধেহ হয় এরা কেন ঘন ঘন বাসা পাল্টায়। প্রশাসনের প থেকে আবারো প্রত্যেক বাসা-বাড়ীতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ঠিকানা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। তা না হলে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। এব্যাপারে প্রশাসনকে আরো শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা প্রত্যেক বাসা বাড়ীতে অবস্থানরত ব্যক্তিদের ঠিকানা এবং তাদের তথ্য সংগ্রহ করছি এবং সন্দেহ তালিকায় থাকা বাসা বাড়ীতে আমরা অভিযান চলাতে প্রস্তুত রয়েছি। বিশেষ করে জঙ্গীদের আস্তানা বা তাদের অবস্থান সম্পের্কে বেশি খোজখবর রাখছি। আমরা বসে নেই। আমাদের প্রশাসন শক্ত অবস্থানে রয়েছি কোন অবস্থাতেই হাজীগঞ্জে জঙ্গীদের ঘাটি বা অবস্থান হতে দেয়া হবে না। ইতি মধ্যে আমাদের সন্দেহ থাকা বাসায় অভিযান শুরু করেছি। তবে এ ব্যপারে স্থানীয়দেরকে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে কোন বহিরাগতদের সন্দেহ হলে সাথে সাথে আমাদের কে জানানে আমারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সবিধা হবে।