চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ২২ মে শনিবার এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। ২৩ মে দুপুর ১২টায় রাস্তার পাশে মেয়েটি পেলে যায় ধর্ষকরা। ধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণী (২০) বাদী হয়ে গত ২৪ মে (সোমবার) ৪জনকে আসাdm করে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
পুলিশ ওই ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত আসামি ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. মহিনউদ্দিন (২৬), একই গ্রামের মাঝি বাড়ীর মো. দুলাল মিয়াজীর ছেলে মো. শাকিল হোসেন (২৪) কে গ্রেফতার করে। পলাতক দু’আসামী ইসমাইল ও তার ছোট ভাই কালুকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহী খলিল।
আরও পড়ুন… নদী বাড়ি রেস্টুরেন্টে প্রথম পরিচয়, অতঃপর নির্জন স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
গণধর্ষণের শিকার হওয়া সেই মেয়েটির তথ্য ও সহযোগীতা করায় সিএনজি চালককে পুরস্কৃত করেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসন। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করায় (নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ওই সিএনজি চালককে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে উপহার তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ পিপিএম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ।
এ সময় ওই সিএনজি চালক তার অনুভুতি জানাতে গিয়ে বলেন, তিনি এই পুরুস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত সেই সাথে বলেন আমি একটি অসহায় মেয়েকে আইনগত সহায়তা দিতে পেরে আনন্দিত। আমি চাই আমার মত সকল পেশার মানুষ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুক।
এসময় ওয়ারেন্টের আসামি, মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ পিপিএম জানান, তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এসময় হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।