চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নারীর গোসলখানা সামনে সিসি ক্যামরা স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাটি ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে কাজী ও সরকার বাড়িতে ঘটেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কাজী বাড়ির নুরু কাজীর মেয়ে সালমা আক্তার (২৫) মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ঘরের সামনে কলের গোড়ায় গোসল করতে যায়। তাদের চারপাশে ভাউন্ডারি বেড়ার কারণে কলের চার পাশে তেমন কোন পর্দা দেওয়া হয়নি। নুরু কাজীর মেয়ে সালমা গোসলখানা থেকে পাশ্ববর্তী সরকার বাড়ির জলিল সরকারের ঘরে চোখ পড়ে।কাছে গিয়ে দেখে দুটি সিসি ক্যামরা লাগানো।
এ দৃশ্য দেখে সালমা আক্তার ডাকচিৎকার করলে উভয় ঘরের লোকজনসহ সাধারণ মানুষ জড়ো হয়।
এক পর্যায়ে নুরু কাজী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল এসে কারণ জানার পরেও জলিল ও তার দুই ছেলে রায়হান ও সৈকতকে নির্দেশ দেয় সিসি ক্যামরা খুলে ফেলতে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যাওয়ার পর পরই উভয় পরিবারের নারী পুরুষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে করে উভয় পরিবারের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
আহতরা হলেন, নুরু কাজীর মেয়ে সালমা, মামুন, জুয়েল, টুটুল, শাকিব ও আনু এবং প্রতিপক্ষ জলিল সরকারের মেয়ে দিপা,রত্নাসহ ১০ জন।
নুরু কাজী বলেন, আমার সীমানায় বহুতল ভবনের কাজ চলমান থাকায় ঘরের বাহিরে টিউবলের কাছে আমার মেয়ে গোসল করতে হয়। জলিল সরকারের ছেলে রায়হান ও সৈকত সরকার তাদের বসতঘর থেকে সিসি ক্যামরা আমাদের গোসলখানা বরাবর কি কারণে লাগিয়েছে তার জন্য আমরা বিচার চাই।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ জলিল সরকার বলেন, তাদের ঘরে নাকি রাতের বেলায় কে বা কারা ডুকে টিন নষ্ট করে যে কারণে আমরা দোষারপ থেকে বাচতে সিসি ক্যামরা লাগিয়ে ছিলাম।