খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহেদী হাসান আল-আমিন কয়েকদিন আগে মাদকের অভিযোগে জেল থেকে জামিনে আসে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি অবহিতকরণ পত্রে দেখা মিলল এমন বাস্তবিক সিদ্ধান্ত। আর এ বিষয়টি নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও সমালোচনা।
লিখিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘মেহেদী হাসান আল-আমিনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার কার্যকরী কমিটির ‘সহ-সম্পাদক’ পদে মনোনীত করা হয়। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন বলে তাদের বিশ্বাস। আগামি দিনের রাজনৈতিক যে কোন কর্মকাণ্ডে পাশে থাকার অঙ্গিকার নেয়ার জন্য বিনীত আহবান দেখানো হয়েছে।’
এর আগে সে হাজীগঞ্জ থানা ও চাঁদপুর জেলা গোয়ন্দা (ডিভি) পুলিশের হাতে একাধিকবার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়। গত ২৬ জুন আল আমিন তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পদ যুক্ত হয়েছেন বলে একটি পোস্ট দেন। যা কমেন্টে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখায় এমন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে জামিনে আসার পর ‘সহ-সম্পাদক’ করায় এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বলাখাল এলাকার বাসিন্দা এই মেহেদী হাসান আল-আমিন। তার এলাকার মানুষ বিষয়টি শুনে হতভাগ এবং রাজনীতিক বিষয়ে সমালোচনার প্রশ্ন জন্ম নেয়।
হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি বলেন, একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছাত্রলীগের পদে এনে ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্ক করেছে বলে আমার মতামত।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়েদুর রহমান খোকনকে দোষরাপ করে সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ মোহন গাজী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আল-আমিন মাদকের সাথে জড়িত, তা অবগত ছিলো না। সভাপতির কথায় স্বাক্ষর দিয়েছে। সভাপতির সাথে কথা বলে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।