চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে বখাটেদের অতর্কিত হামলায় মোবারক হোসেন (২০) নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
১৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের পশ্চিম ভিঙ্গোলিয়া গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত মোবারক উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন গাজীর ছেলে।
আহতরা হলেন রাজু আহমেদ (২৫), মহিন (১৮), হামিদ (২০) ও মহিন (২১)। তারা বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এছাড়াও আরো বেশ কজন কম বেশি আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায় একই গ্রামের মিজান এর ছেলে মহন খান (২১) নেতৃত্বে ৫ জন মিলে সুইচ গিয়ার দিয়ে দিয়ে
নিহত মোবারক হোসেনকে আঘাত করে।
নিহত মোবারককে হাসপাতালে নিয়ে আসা রাজু নামে এক যুবক জানান, সেখানে কিছু বখাটে ছেলেদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার কিছুক্ষণ পরেই মোবারকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আমরা কয়েকজন মিলে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আহত মহিনের পিতা শাহজাহান ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার দুপুরে তারা ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে কনে পক্ষের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। ওই বাড়ি থেকে তারা দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে আসলে দেখতে পারেন কিছু বখাটে যুবক দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া চলছে। এ সময় তারা তাদের ছাড়াতে গেলে একটি পক্ষ চাপাতি, ছুরি সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় মোবারকের গলায় কোপ দিলে সে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।
অন্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ডাক্তার সৈয়দ আহমেদ কাজল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুরের এএসপি হেড কোয়ার্টার আসাদুজ্জামান, ও চাঁদপুর মডেল থানার একাধিক পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান।
এ বিষয়ে এএসপি হেডকোয়ার্টার আসাদুজ্জামান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে এবং একজন নিহত হয়েছেন বিষয়টি নিয়ে আমরা গুরুত্বসহকারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে হাইমচর থানা অফিসার মোঃ মাহবুবর রহমান মোল্লা জানান পূর্বে বিয়ের বাড়ির ঘটনায় সূত্র ধরে এ ঘটনা ঘটেছ বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করতেছি। আসামি গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।