সিলেটে আরিফ-জামায়াত বিরোধ শুরু হয় ‘উইমেন্স মেডিকেল কলেজ’ ভাঙা নিয়ে
তবে জামায়াতের এমন অনড় অবস্থানকে বিএনপি নেতারা অন্যভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, সারা দেশে জামায়াত; বিএনপির সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চললেও সিলেটে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই তাদের বোঝাপড়া বেশি। এমনকি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জামায়াতের সমর্থকদের বেশি ভোট পান। এছাড়া দলটি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে সিলেট জামায়াতের নেতাদের মালিকানাধীন অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল-ক্লিনিকে আওয়ামী লীগের লোককে ‘উপদেষ্টা’হিসেবে নিয়েছে। এ নজির শুধু সিলেটে নয়, সারা দেশেই কমবেশি আছে।
এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজেকে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করলে কেন্দ্রীয় বিএনপি এ নিয়ে কথা বললেও স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে তা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো চাপ বা অনুরোধ আসেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জামায়াতে ইসলামী এগোচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি স্বনামে নির্বাচন করতে পারবে না ঠিক, কিন্তু বেনামে নেতাদের অংশ নিতে বাধা নেই। জাতীয় নির্বাচনে তারা যে নিজেদের শক্তি পরীক্ষায় নামতে চায়, তার মহড়াটি সিলেট থেকে শুরু করতে চাইছে মৌলবাদী ধ্যানধারণা পুষ্ট দলটি।
বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সিলেটের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। এই মুহূর্তে রাজনীতির চেয়েও সারা দেশে জামায়াত নেতাদের মালিকানাধীন যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো রক্ষা করা জরুরি বলে মনে করেন জামায়াতের নেতারা। এ কারণে জাতীয়ভাবে সম্ভব না হলেও স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলার নীতিও নিয়েছে দলটি।
তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জামায়াতের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিলেট নির্বাচনে কঠিন সময়ে অবতীর্ণ হয়েছে বিএনপি। দোষ ঢাকতে নানা অজুহাত দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগকেও জড়াচ্ছে বিএনপি।